
বাংলাদেশি আইটি প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (বাইটপো) উদ্যোগে ‘আইটি জবস ফর বাংলাদেশিস: ট্রেন্ড, প্রসপেক্ট অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ অক্টোবর টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহরের সাউথফর্ক রেঞ্জে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই সাউথ ওয়েস্টের তত্ত্বাবধানে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা আমীন খোকন। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাইহানুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহাম্মদ মাওলা দিলু ও সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মোহাম্মদ হুদা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও বাইটপো সভাপতি সামছুদ্দীন মাহমুদ।
সেমিনারে সামছুদ্দীন মাহমুদ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, আইটি খাতে কর্মসংস্থান ১০ বছরে ১২ শতাংশ বাড়বে, যা অন্য সব পেশার গড়ের চেয়ে বেশি। আইটিতে আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ৫ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এ খাতে ২ লাখ ৯৮ হাজার ২০০টি কর্মসংস্থান হয়েছে। এ হার সামনে আরও বাড়বে।
অন্য পেশার চেয়ে এ পেশায় আয়ের সুযোগ বেশি উল্লেখ করে সামছুদ্দীন মাহমুদ বলেন, ২০১৮ সালে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি পেশায় গড় বার্ষিক মজুরি ছিল ৮৬ হাজার ৩২০ ডলার। অন্য পেশার ক্ষেত্রে বার্ষিক এ গড় আয়ের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৬৪০ ডলার। এ খাতের গড় মজুরি মার্কিন বেসরকারি খাতের অন্য ক্ষেত্রগুলোর চেয়ে ১০৪ শতাংশেরও বেশি। ২০১৮ সালে এ খাতের কর্মীদের মোট ৯৬ হাজার কোটি ডলার বেতন দেওয়া হয়েছে, যা সব খাত মিলে প্রদেয় বেতনের ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। একই বছরে আমেরিকার জিডিপির ৭ দশমিক ১ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। তাই এখনই বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রায়হান চৌধুরী বলেন, আইটি খাতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সেমিনারের মূল উপজীব্য করার জন্য বাইটপোকে ধন্যবাদ। আমেরিকা হলো সুযোগের দেশ। আর আইটি খাত একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র। তাই নিজেকে এখন থেকেই প্রস্তুত করতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশিদের আইটি খাতের জন্য তৈরি করতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি এ খাতে বিনিয়োগেরও পরামর্শ দেন। এ ক্ষেত্রে বাইটপো দারুণ কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশি কমিউনিটিকে আইটি খাতে এগিয়ে নিতে বাইটপোর এ ধরনের সেমিনারের উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়। এ ধরনের উদ্যোগ যেন অব্যাহত থাকে, সে জন্য সবাইকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।