বিশ্বে এই প্রথম এইচআইভি রোগীর কিডনি দান
বিশ্বে প্রথমবারের মতো এইচআইভি-আক্রান্ত জীবিত কোনো রোগীর কিডনি দান হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ওই কিডনি অন্য একজনের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স হাসপাতালে গত সোমবার অস্ত্রোপচারটি হয়েছে। দাতা ও গ্রহীতা দুজনই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, এই অস্ত্রোপচারে যুক্ত ডা. ডোরি সেজেভ এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো জীবিত কোনো এইচআইভি রোগীকে কিডনি দানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের ভাষায়, আগে ধারণা করা হতো, এইচআইভি পজিটিভ থাকলে তা কিডনি রোগের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাঁদের দান করা কিডনি নেওয়া যাবে না। তবে এখন নতুন ধরনের অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ড্রাগস এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়ায় তা কিডনির জন্য নিরাপদ বলে ভাবা হচ্ছে।
জনস হপকিন্সের ওষুধ ও ক্যানসার-বিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. ক্রিস্টটাইন ডুরান্ড বলেছেন, ‘রোগীরা অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এখন আমরা দীর্ঘ মেয়াদে এর ফলাফল দেখতে নজরদারি রাখব।’
কিডনিটি দান করেছেন আটলান্টার অধিবাসী এইচআইভি রোগী নিনা মার্টিনেজ (৩৫)। সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর খুব ভালো লাগছে। এ ধরনের ঘটনায় প্রথম হতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত। চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি ধারাবাহিক নাটক ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’ দেখে তিনি কিডনি দান করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আমি এমন একজন—যার জন্য তাঁরা (চিকিৎসকেরা) অপেক্ষা করছিলেন। যে কেউ এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য বিবেচিত হতে পারেন, এটা সম্ভব।’
ড. ডুরান্ড জানান, কিডনি গ্রহীতা তাঁর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এইচআইভি/এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এটাকে ‘বিশ্বের জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ ঝুঁকি’ হিসাবে তালিকায় রেখেছে।