ফোনে অস্থির হয়ে আছেন আমার স্বামী। সকাল বেলা অফিসে তাই এক ঘণ্টা পরে বের হলাম। কথা হচ্ছিল আমাদের দুজনের। বিষয় কালচারাল সেন্সিটিভিটি। আমাদের কিছু বাংলাদেশ মুসলমান পুরুষ তাঁকে ফোন করে অস্থির করে তুলেছেন। যাঁরা কল করেছেন, তাঁরা সবাই আমার ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’। সামনে নির্বাচন। বাঙালি পুরুষদের অপছন্দের জীবনযাপন করে আমি নির্বাচিত হওয়ার আশা করি? কীভাবে? তাও আমেরিকার মূলধারার কোন নির্বাচনে!
কথা হচ্ছিল, আমার একটি ছবি নিয়ে। ছবিটি লেবার ল’ইয়ার ইথানের সঙ্গে তোলা। সদ্য ফিরেছেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ঘুরে। ফিরে এসে অস্থির হয়েছিলেন আমার সঙ্গে মিটিং করতে। অপেক্ষা করতে পারছিলেন না, তার ফাইন্ডিং শেয়ার করতে। কথা হয়েছে নানা বিষয় নিয়ে। অবৈধ সেটেলার বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে, ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ফিলিস্তিনের স্বাধীন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। আমি সব শুনে আমার মতামত দিলাম। পাশাপাশি তাকে বললাম, এবার তার মুখে শুনলাম পরে একবার নিজের চোখে দেখতে চাই। ফিলিস্তিনের স্বাধীন হওয়ার পথে নানা বাঁধা। প্রতিদিনের গজিয়ে ওঠা নতুন নতুন বসতি তার অন্যতম। আমাদের পূর্ববর্তীরা চেষ্টা করেছে এবং নিশ্বাস নিয়ে বিদায় হয়েছে। যদি আমাদের সময়ে আমরা কিছু করতে পারি, যদিও আলবেনিতে এই বিষয়ে করার তেমন কিছুই নাই। তারপরও সৃষ্টিকর্তা কাকে দিয়ে কী করানোর পরিকল্পনা করেছেন, তা বোঝার সাধ্য কার।
ইথানের সঙ্গে এটা ছিল আমার দ্বিতীয় মিটিং। প্রথম মিটিং শেষে আমি ইথানের সঙ্গে একটা ছবি তুলতে চেয়েছিলাম। ইথান বলেছিলেন, ছবি আমরা পরে ওঠাব, মোর মিনিংফুলি। এবারের মিটিংয়ের পরে ইথানই আমার সঙ্গে একটা ছবি তুলতে চাইলেন।
আমাদের পাশের টেবিলের একজনকে বলা হলো, ছবিটা তুলে দিতে। ইথান আমার নির্বাচনে কেবল সমর্থনই দিয়েছেন, তা নয়। আমার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা এবং পুরোটা সময়ে ক্যাম্পেইন করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। ইথান নিজেও নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা ছিল। নতুন চাকরিতে যোগ দিয়ে এখন দোদুল্যমানতায় আছেন। ইথান আমাদেরই একজন, যারা এই সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে। মিটিংয়ের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে ছবিটি আমিই আগে পোস্ট করি। এই জার্নিতে প্রতিদিনই কারও না কারও সঙ্গে মিটিং হচ্ছে এবং প্রতিদিনই কারও না কারও সঙ্গে ছবি তুলছি। এরা আমার ভোটার, নয়তো অর্গানাইজার, নয়তো ফান্ডিংয়ে সাহায্য করছেন।
কথা হচ্ছিল কালচারাল সেন্সিটিভিটি নিয়ে। বাংলাদেশি পুরুষদের মেজাজ ওঠে এমন ছবি পোস্ট করা যাবে না। বাংলাদেশি পুরুষদের সেন্সিটিভিটি বুঝতে হবে। কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমার স্বামীর সর্বনাশ আজ নতুন না। সর্বনাশ যেন সেদিনই হয়েছিল, যেদিন আমাদের প্রথম দেখার জন্য আমাদের বিয়ের ঘটক আমার বোনের বাসায় নিয়ে এসেছিলেন। পাত্রী দেখার পরে উনি বিয়ে করবেন বলে মন ঠিক করে ফেলেন। কিন্তু পরিবার রাজি নয়। পরিবার মনে হয় আগেই বুঝেছিল-কী সর্বনাশ হতে যাচ্ছে তাদের ছেলের জীবনে। ছেলে পরিবারের কথা শোনেনি। শুনিনি আমিও। আত্মহত্যা আর বিয়ে এই দুকাজে কয়জনইবা পরিবারের কথা শুনে!
সেই থেকে শুরু। তিনি অবশ্য এই অত্যাচারকে জীবনের অংশ হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। শিক্ষাটা হয়তো আমার শ্বশুরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। আমার শাশুড়ি প্রচণ্ড স্বাধীনচেতা। সব সময় আমার শ্বশুরের কথা শুনতেন না। প্রায় সময়ই আমার শ্বশুরকে তাঁর কথা শুনতে বাধ্য করতেন। ভদ্রলোকের জন্য মাঝে মাঝে কষ্টই হয়। হয়তো ধরেই নিয়েছেন, নারী মানেই ভিন্ন এক প্রাণী।
আমি অত্যন্ত সোজাসাপটা মানুষ। লুকিয়ে এক কাজ করব আর সামনে এক—সে আমাকে দিয়ে হবে না। যারা কল করেছেন তাদের একটা কথা, লুকিয়ে যা খুশি তাই করেন। এমন প্রকাশ্যে ছবি দেওয়া কী ঠিক হলো? আমারও এক কথা। অপরাধ যেটা সেটা লুকিয়ে করলেও অপরাধ। সামনে করলেও অপরাধ। আমার মানুষদের অধিকার আছে আমি কে, তা জেনে নেওয়ার। জেনে নিয়ে যদি সমর্থন না দেয়, সে সিদ্ধান্তের প্রতিও আমার শ্রদ্ধা।
পেছনের কথায় আসি। ২০০৭ সাল, নারীদের ফেসবুক ব্যবহার করা হারামের বছর। একটানা খেদোক্তি আর হুমকি ধামকি। মুসলমান নারী হয়ে থাকলে ফেসবুক ছেড়ে চলে যান। ফলাফল, অত ফেসবুকে থাকার দরকার কী? মানসম্মান, সংসার সবকিছুর চেয়ে ফেসবুক বড় হয়ে গেল?
উত্তর, ফেসবুক আমার নারী স্বাধীনতার প্রতীক। নারী স্বাধীনতার মূল্য পুরুষের চোখ জ্বালা বা তাদের কন্ট্রোলিং মানসিকতার অবশ্যই অনেক উপরে।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল। নারীর সেলফি হারামের বছর। উপদেশ শুনতে হয়, এত সেলফি দেন গুনাহগার হবেন। পুরুষের চোখের জেনার কারণ হবেন। জাহান্নামের আগুনের ইন্ধন হবেন। ফলাফল: এত ছবি না দিলে হয় না? মানুষ এত বাজে কথা বলে, তোমার লজ্জা হয় না?
উত্তর দিই, আমি কী বাজে কথা বলা মানুষের ফেসবুকে পোস্ট করেছি নাকি তাদের ট্যাগ করেছি। তাদের অপরাধ মন নিয়ে পরনারীর ছবি দেখা বন্ধ করতে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন আপনারা?
২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল । স্বামীর সঙ্গে ছবি ওঠানো নির্লজ্জতা। প্রেম করার জন্য ঘর আছে, ফেসবুকে ছবি দিতে হবে নাকি? অবশ্যই স্বামীকে অ্যাটাক করে বেশি বাজে কথা। টাকার লোভে বিয়ে করেছ। বিদেশে যাওয়ার জন্য। লোভের কাছে পরাজিত (কেন এ মন্তব্য আমি আজও বলতে পারব না। ১০/১২ বছরের ব্যবধানে বাবা–মা মেয়ে বিয়ে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই)। ফলাফল: তুমি তোমার ছবি পোস্ট করলে কর, আমার ছবি পোস্ট করতে পারবানা। উত্তর, ওকে ফাইন। করব না। যেহেতু তোমার ছবির ওপর তোমার অধিকার আছে।
২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল। ভালোই সময় কেটেছে।
২০১৯ সাল। একদিন বিশাল প্রশংসা তো আরেকদিন ভীষণ বকাঝকা। আপনার কী লাজলজ্জা বলতে কিছু নাই? এই যে এত মানুষ, এত গালি দেয় আপনার কী লজ্জা লাগে না?
উত্তর, গালি দেওয়া হারাম। যারা গালি দেয় ইহ জীবনে তাদের সঙ্গে আমার কোন লেনদেন নাই। পরতে পরতে হারাম কাজ করে গালি দিতে তাদের লজ্জা নাই, লজ্জা হবে গালি খাওয়া মজলুমের? সেই লজ্জা নিয়ে তো আল্লাহ–ই আমাকে সৃষ্টি করেননি।
১৯৯৩ সাল। এই মানুষদের একজন অযথাই এসে আমার ভাইকে বলেছিল, আমি নাকি কোন এক ছেলের সঙ্গে আমাদের বাগানে কথা বলেছি। কমবয়সী রাগ–ঘৃণা-অপমান। সেদিন আসলেই লজ্জা পেয়েছিলাম। কথাটা যে মিথ্যা, সেটা প্রমাণের কোন সিসিটিভি ফুটেজ না থাকার লজ্জা। কিশোরীর রাগ ও ঘৃণা। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার লজ্জা। আমার বোন ছিলেন আমার শিক্ষক। তিনি এক মহামূল্যবান শিক্ষা দিয়েছিলেন সেদিন। বলেছিলেন, শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া দুজনকে প্রতিদিন অনেক মানুষ গালি দেয়। তারা কেবল তাদেরই জবাব দেন, যাদেরকে তারা তাদের সমকক্ষ মনে করেন। মশা–মাছি সবকিছু নিয়ে যদি সময় ব্যয় শুরু করো, অনেক দরকারি কাজে পিছিয়ে যাবে।
একবার একজন এসে খবর দিল, এক ছেলে আমাকে নিয়ে তার বিরাট পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। সে আমাকে আরেকটা ছেলের সঙ্গে প্রথমে হুকআপ করাবে। তারপর সেই ঘর ভাঙবে, তারপর ডিভোর্সি এক মেয়ে হিসেবে আমাকে সে বিয়ে করবে। কারণ তার ধারণা ছিল, সে কখনো আমাকে বিয়ে করার যোগ্য ছিল না। পরিকল্পনা প্রকাশ হওয়ার পরে আমার মা চেয়েছিলেন আমার নাক ফুটে দিতে। গ্রামের মানুষেরা ভাবত, নাক ফুটো হলে তাবিজ কবচ কাজে লাগে না। ভয় ছিল, যদি তাবিজ করে নিয়ে যায়। আমার বিশ্বাস ছিল, মনের ওপর কোন তাবিজের কাজ হয় না। আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, আমার নাকে আজও কোন ছিদ্র নেই।
আমি আগেও পর্দা করতাম, বোরকা পরতাম, কিন্তু নাক ঢেকে নয়। প্রথম আমি নাক ঢাকা শুরু করলাম। নতুন করে কুরিয়ার সার্ভিস প্যাকেট এল। সঙ্গে চিঠি, লুজ বোরকা পরে নাক ঢেকে লাভ নেই। আমদের চিনে নিতে কষ্ট হয় না, কে কোনটা।
ভয়ে মোহাম্মদপুর এলাকা ছেড়ে পালালাম মিরপুরে। সেখানে কেউ আমাকে চেনে না। অলরেডি বিবাহিতা আমি। নাক বন্ধ করে পর্দা করি, চোখ ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। ঢাকা সিটি কলেজের ছাত্রী আমি। প্রতিদিন এই লম্বা পথ রিকশায় যাই আসি। রিকশা থেকে নেমে একটা লম্বা পথ হেঁটে বাসা। প্রতিদিন নিয়ম করে কারা পাশের বাসার ছাদ থেকে বড় বড় আস্ত ইট ছুড়ে মারে। ভাগ্যক্রমে প্রতিদিন সেই ইট পড়ে কয়েক ফুট দূরে পাশের নালায়। প্রতিদিন ছিটকে আসা নালার পানিতে ভেজা বোরকায় ঘরে ফিরি আমি। কখনো চোখ উল্টে দেখিনি, কোথা থেকে ইট আসে। পাছে একটা ইট সরাসরি মুখের ওপর পড়ে।
এসব বাংলাদেশ ঘটেছে। যেখানে আমারও জন্ম হয়েছিল। সেদিন সেখানে পুরুষেরা দল বেঁধে বিবাহিত নারীদেরও ইট মারত। আর আজ সন্তানের মা নারীদের জ্যান্ত পিটিয়ে হত্যা করে ছেলে ধরা সন্দেহে। আজ যখন বলেন, পুরুষদের নোংরা মন্তব্য পড়তে আমার লজ্জা হয় না? আমার উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই না। কিন্তু সেই অল্প বয়সে হয়েছিল। তখনো বোঝার বয়স হয়নি যে, নোংরা মন্তব্য যে করে, যে পুরুষেরা ইট ছুড়ে মারে নারীদের গায়ে—এটা তাদের অপরাধ। যার গায়ে মারে এটা তার অপরাধ নয়। আপনারা যারা আজ মনে করেন, আমার ছবি দেখে আপনাদের নোংরা মন্তব্য করার অধিকার আছে। আপনাদের সেই সব বাজে মন্তব্য করা পুরুষদের অধিকার রক্ষা করতে। আমি যদি সত্যি মুসলিম নারী হই, আমার ফেসবুক ছেড়ে যাওয়া উচিত। জেনে রাখুন, আপনাদের মধ্যে অত্যাচারীদের অত্যাচারে সেই সব দিনে আমার আত্মহত্যা করার কথা ছিল। আমাকে সৃষ্টি কর্তা বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি সৃষ্টিকর্তার নির্ধারিত টাইমলাইন ধরে হাঁটছি।
আমার জীবন নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি কতক্ষণ বাঁচব, তাও আমি দেখতে পাই না। সেদিন সেই ছেলেটির মিথ্যা বলায় আমার যে পরিমাণ রাগ হয়েছিল, সেদিনও আমি মরে যেতে পারতাম। কিন্তু এত বছরে অনেক কিছু শিখেছি। শিখেছি যে, এসব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাকে যে উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন হয়তো তার ট্রেনিং দিয়েছেন। এ কারণেই আজ বড় গলায় বলতে পারছি, কোন নারী ধর্ষিতা হলে এটা তার কোন কাপড় বা চাল–চলনের দোষ নয়। এটা আমাদের সমাজের পুরুষদের শৈশবে অবহেলিত হওয়ার প্রতিফলন।
সৃষ্টিকর্তা আমাকে কোন ভবিষ্যৎ দিয়ে পাঠিয়েছেন আমার জানা নেই। হয়তো বড় কোন পরিকল্পনা। হয়তো এটাই সমাপ্তি। জীবনে কোন কাজের পক্ষে–বিপক্ষে কোন ফলাফলের জন্য কোন মানুষকে দায়ী করিনি। ভালোবাসার মানুষের যেমন অভাব হয়নি, ঘৃণা করারও কিছু মানুষ সব সময় আছে চারপাশে। তারা সব সময় ছায়ার মতো ওত পেতে থাকে। যখনই তাদের ঘৃণা জাস্টিফাই করার কোন সুযোগ পান, সঙ্গে সঙ্গেই হই হই রই রই করে জানান দেন। তবে ভালোবাসার মানুষরাও খুব একটা বাঁচাতে আসেনি কখনো। বরং নিরাপদ দূরত্বে সরে গেছে বারবার। মানুষের দুর্বলতা আমি জানি। কিন্তু আমার অবস্থান আমি ছাড়তে পারব না।
আমি আমার স্বামীকেও বলে দিয়েছি। প্রায় ৩০ বছরের সংসার আমাদের। তিন তিনটি সন্তান। আমাকে নিয়ে যদি আপনারা তার জীবন ত্যক্ত–বিরক্ত করে ফেলেন, তার অধিকার আছে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার। আমি জানি, আমার মতো নারীদের সঙ্গে ঘর করা কখনোই সহজ নয়। তিনি ধৈর্যশীল বলেই এতটা বছর মতামতের হাজারো ভিন্নতা স্বত্ত্বেও বেঁচে আছি একই ছাদের নিচে। এক ছেলে ও দুই দুইটি মেয়ের মা আমি। আমাদের কিছু পুরুষের এ অন্যায় অত্যাচারের অভ্যাসকে সমর্থন দিয়ে আমার শিশু মেয়ে, তাদের মেয়ে, তাদের মেয়েসহ লাখ লাখ নারীদের বিপদে ফেলে অন্যায়ের সমর্থনে সরে যেতে পারব না। এতে যদি আপনারা আমার সমর্থনে না আসেন, সে জন্য আমি আপনাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব না। এটা আপনাদের সিদ্ধান্তের অধিকার। আর সৃষ্টি কর্তার পরিকল্পনা যদি অনেক দূর থাকে আমাকে নিয়ে, সেখানে পৌঁছেও আপনাদের দিকে আঙুল তুলব না। মানুষেরা যার যার আত্মসম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকবে, তার লক্ষ্যেই তো আমার কাজ।
(মেরী জোবাইদা, বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাকটিভিস্ট। ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে রাজ্য সরকারের নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন)