Thank you for trying Sticky AMP!!

শেষ পর্যন্ত ওসামা বিন লাদেনেরই জয় হয়েছে: মুর

মাইকেল মুর

বিশ্বখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্রনির্মাতা ও লেখক মাইকেল মুর বলেছেন, আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিত বলা যায়, শেষ পর্যন্ত আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনেরই জয় হয়েছে।

মাইকেল মুর ৭ সেপ্টেম্বর তাঁর ওয়েবসাইটে ‘ইন দ্য এন্ড, বিন লাদেন ওন’ শিরোনামে একটি দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে এ কথা বলেন তিনি।

‘ফারেনহাইট ৯/১১’ নামের তথ্যচিত্র নির্মাণ করে মুর সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়ে ছিলেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী হামলা হয়। তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের যুদ্ধনীতি নিয়ে সমালোচনামূলক তথ্যচিত্র ‘ফারেনহাইট ৯/১১’। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে সর্বকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রদর্শিত হয়।

একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক মুর বলেন, মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হলেও ওসামা বিন লাদেন তাঁর শত্রুপক্ষের বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছেন। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘাতে বিলুপ্তির আসল জঙ্গিবাদে আমেরিকা জড়িত বলে বিষোদ্‌গার করেন তিনি।

মুর বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার দুই বছর আগেই তিনি আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের দেখে এসেছিলেন। মাত্র দুই বছর পর বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটে। ওসামা বিন লাদেন চেয়েছিলেন আমেরিকাকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া করে দিতে। ওসামা বিন লাদেন চেয়েছিলেন বেশি আমেরিকান লোকজনকে হত্যা করতে। আমেরিকার স্বপ্ন মুছে দিতে। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে হলেও ওসামা বিন লাদেন তা ঘটতে দেখছেন।

মুর আরও বলেন, ওসামা বিন লাদেন চেয়েছিলেন, বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে যে গর্তে বসবাস করেও আমেরিকাকে পরাজিত করা যায়। যার কোনো যুদ্ধবিমান নেই, নেই ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার। সেই ওসামা বিন লাদেন জানতেন, ৯/১১-এর হামলা আমেরিকাকে দীর্ঘ যুদ্ধে নিয়ে যাবে।

মুর বলেন, ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা নিজেদের জয়ী দাবি করলেও তিনি (ওসামা বিন লাদেন) মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মের ফলাফল আজ দেখতে পাচ্ছেন।

মুর বলেন, আমেরিকা এখন প্রতিদিন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

মুর তাঁর দীর্ঘ নিবন্ধে লিখেছেন, আসল জঙ্গি হচ্ছে পুঁজিবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তন। পুঁজিবাদে লোভ ও চুরির ওপর ভিত্তি করে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, তা আজ লোকজনকে বন্যাকবলিত বেসমেন্টে বসবাস করতে বাধ্য করছে।

মুর বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তনের সমস্যা সমাধানের জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন কোনো ঐতিহাসিক বিনাশী ঘটনার মাধ্যমে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করছি।’