বেশির ভাগ গাড়িচালক ও পথচারী ট্রাফিক আইন মানতে চান না। ওভারটেক করার প্রবণতা ও অতিরিক্ত গতির কারণে দেশে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য চালক-পথচারীসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। গতকাল বুধবার সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে গণসচেতনতামূলক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর এলজিইডি ভবন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়। সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ উল হাসান, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ, বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমেদ, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন বলেন, বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো আইন আছে, কিন্তু এসবের প্রয়োগ কম। আইন প্রয়োগ করতে গেলেই বিভিন্ন পক্ষ থেকে বাধা আসে। চালক-পথচারীদের অসতর্কতা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তাঁদের সচেতন করতে ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজন। চালকদের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ উল হাসান বলেন, বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো। ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। ফিটনেস সনদ দেওয়ার সময় গাড়ির অবস্থা ভালোভাবে দেখার জন্য বিআরটিএর কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমেদ বলেন, ‘আমরা সড়ক দুর্ঘটনা চাই না। কিন্তু চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব আছে। চট্টগ্রামে কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। তাঁদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এ ছাড়া পরিবহন টার্মিনাল ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকাও জরুরি।’
আলোচনা সভার আগে শোভাযাত্রা বের করা হয়।