পি কে হালদারকে দেশে ফেরানো প্রশ্নে রুলের শুনানি ১২ জুন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে দেশে ফেরানো প্রশ্নে রুলের ওপর ১২ জুন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার শুনানির এই তারিখ ধার্য করেন।

পাশাপাশি প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর হালনাগাদ তথ্য জানাতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

দেশের আর্থিক খাতে কেলেঙ্কারির জন্য আলোচিত পি কে হালদার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন
পি কে হালদার
ফাইল ছবি

গত শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদার ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেপ্তারের পর পি কে হালদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের ১১টি বাড়ি, জমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে ইডি। তাঁর আরও সম্পদ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

ভারতে পি কে হালদার গ্রেপ্তার হওয়ার তথ্য গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। একই সঙ্গে এ-সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত রুল শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জানান, আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় থাকবে। সে অনুসারে বিষয়টি আজ কার্যতালিকায় ওঠে। আদালত আগামী ১২ জুন রুল শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনা প্রশ্নে দেড় বছর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন।

২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদনে ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে একই বছরের ১৯ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।

রুলে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা-ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, এ ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপর ১২ জুন চূড়ান্ত শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন