সোমেশ্বরী নদীতে বালুমহাল ইজারার কার্যক্রম স্থগিত

বালু তোলায় নষ্ট হয়ে গেছে নদীর পরিবেশ ও সৌন্দর্য ছবিটি ২০২৩ সালের অক্টোবরেরছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে বালুমহাল ইজারার জন্য দরপত্রসংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে আদেশের বিষয়টি নেত্রকোনার জেলা প্রশাসককে জানাতেও বলা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি নেত্রকোনার জেলা প্রশাসন ১৪৩১ বঙ্গাব্দের জন্য সোমেশ্বরী নদীতে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করে। তবে বালুমহালগুলো নিয়ে ইতিপূর্বে রিট ও আদালতের নির্দেশনা উল্লেখ করে এই পাঁচটি বালুমহাল ইজারার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি সম্পূরক ওই আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।  

আরও পড়ুন

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না।

বেলা জানায়, অনিয়ন্ত্রিত বালু ও পাথর উত্তোলন থেকে সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় ২০১৫ সালে বেলা একটি রিট করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আইন অনুযায়ী নদীটির প্রতিবেশগত অবস্থা নিরূপণ করা, আইন ও ইজারার শর্ত অনুযায়ী কঠোরভাবে নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ এবং বালু, পাথর ও মাটি উত্তোলনে পাম্প ও ড্রেজার মেশিন ব্যবহার প্রতিরোধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বালু, পাথর ও মাটি উত্তোলন নিয়মিত তদারকি করতে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত, যাতে ইজারা গ্রহীতারা ইজারা চুক্তির বাইরে গিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন। এ বিষয়ে কমপ্লায়েন্স (নির্দেশনা বাস্তবায়নসংক্রান্ত) প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়।

আরও পড়ুন

আজকের আদেশের পর বেলার আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৫ সালের ২৯ জুলাইয়ের আদেশ অনুসারে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি। হাইকোর্টের আদেশ এবং বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের বিধান লঙ্ঘন করে সোমেশ্বরী নদীতে মামলাভুক্ত ওই পাঁচটি বালুমহাল ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ অবস্থায় আদালতের আগের আদেশ বাস্তবায়ন চেয়ে এবং দরপত্রের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করা হলে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ ওই আদেশ দেন।

আরও পড়ুন