অস্ত্র মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটফাইল ছবি

অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. ইব্রাহিম মিয়া সম্প্রতি এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয় শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেদিন সম্রাট আদালতে হাজির হননি। আদালত সেদিন তাঁর জামিন বাতিল করে তাঁকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানাধীন ভূঁইয়া ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে সম্রাটের দেখানো একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে র‍্যাব। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন র‍্যাব ১–এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, উদ্ধার করা অস্ত্রের কোনো লাইসেন্স ছিল না, যা অস্ত্র আইনে অপরাধ।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তাঁর এক সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর র‌্যাব সম্রাটকে নিয়ে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাট জামিনে মুক্ত হন।

উল্লেখ্য, সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা বিচারাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও একটি মামলা বিচারাধীন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন