চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েছেন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব

যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ফাইল ছবি প্রথম আলো
যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ফাইল ছবি প্রথম আলো

মিরপুর থানায় করা চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েছেন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ আদেশ দেন। তবে এ মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি পাচ্ছেন না মোজাম্মেল। আরেকটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদনের শুনানি বাকি আছে।

আদালত সূত্র বলছে, মোজাম্মেল হককে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেওয়া হয়েছে। মোজাম্মেলের আইনজীবী জায়েদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে মোজাম্মেলের জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে বিকেলে জামিন মঞ্জুর করেন। পরে মোজাম্মেলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক মামলায় গতকাল সোমবার মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এর শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ বাদী হয়ে কাফরুল থানায় এ মামলা করেছিল।

চাঁদাবাজির মামলায় মোজাম্মেলকে গত শনিবার আদালতে হাজির করে পুনরায় পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে মোজাম্মেলকে পেশাদার চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর থানার এসআই বজলুর রহমান আদালতের কাছে দাবি করেন, মোজাম্মেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আসামি মোজাম্মেল যাত্রীকল্যাণ সমিতির নাম বলে বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সমিতির লোকজনের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা চেয়েছেন এবং নিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

রিমান্ড আবেদনে আরও দাবি করা হয়, মোজাম্মেলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর সহযোগী চাঁদাবাজদের নাম-ঠিকানা জানা যাবে। বাদীর কাছ থেকে নেওয়া চাঁদাসহ মালিক সমিতির কাছ থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে। মোজাম্মেলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গত শনিবার আদালতে দাবি করেন, কথিত বাদী মোজাম্মেলকে চেনেন না বলে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন। মামলা করিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকের দুই নেতা। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

গত মঙ্গলবার চাঁদাবাজির এ মামলা করেন মিরপুর রোড শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল নামের এক ব্যক্তি। মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে গত বুধবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ড চাওয়া হয়। সেদিন আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চাঁদাবাজির এ মামলাকে সাজানো মামলা বলে আদালতে দাবি করেছেন মোজাম্মেলের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। মোজাম্মেল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন। তাঁর দুই ছেলে, এক মেয়ে। বড় ছেলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শ্রেণিতে লেখাপড়া করছেন। মোজাম্মেলের স্ত্রী রিজু আক্তারের দাবি, যাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন কথা বলার কারণে তাঁর স্বামীকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অারও পড়ুন :