পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ, সেন্ট মার্টিনে আটকা ১২০০ পর্যটক

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে করে সেন্ট মার্টিনে রাত যাপন করতে যাওয়া ১ হাজার ২০০-এর বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৪ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করার পর আজ শুক্রবার সকাল থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফ সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া নদীবন্দরের জেটিঘাট থেকে চারটি জাহাজে করে ১ হাজার ১৯১ পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যান। এ ছাড়া ট্রলার ও স্পিডবোটে করে আরও দুই শতাধিক পর্যটক সেখানে যান। পরে বিকেলে প্রায় ৬০০ পর্যটক টেকনাফে ফেরত এলেও রাত যাপন করতে আরও ৬০০ পর্যটক সেখানে থেকে যান। এ ছাড়া বুধবার রাত যাপনের জন্য থেকে যাওয়া প্রায় ৪০০-সহ বর্তমানে সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয়ক আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে। এতে করে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযানকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সেন্ট মার্টিন ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিব খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দ্বীপে বেড়াতে এসে অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত হোটেল-কটেজ ভাড়া আদায় করা না হয়, সে জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা হোটেলমালিকদের জানানো হয়েছে।

সেন্ট মার্টিনের সি-ফাইন্ড রিসোর্ট ও সি-ব্লু রিসোর্টের পরিচালক এম এ রহিম বলেন, বেড়াতে এসে আটকে পড়া পর্যটকদের কাছে ভাড়া কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। পুরো দ্বীপের ১০৬টি হোটেল-কটেজে ১ হাজার ২০০-এর মতো পর্যটক রয়েছেন।

সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. মনসুর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আটকে পড়া পর্যটকেরা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য বিশেষ নজর রাখার পাশাপাশি পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।