শহিদুল আলমসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটককৃতদের মুক্তির দাবি এইচআরএফবির

হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি এই দাবি জানায়।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলম তিনিসহ বহরে থাকা ব্যক্তিদের আটকে দেওয়ার খবর জানান। শহিদুল আলম বলেন, তাঁদের বহনকারী গাজা অভিমুখী জাহাজটি মাঝসমুদ্রে আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন।

শহিদুল আলম কনশেনস নামের যে জাহাজে আছেন, তা আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের একটি জাহাজ। আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসাকর্মীবাহী এই জাহাজ ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছিল।

এইচআরএফবির বিবৃতিতে বলা হয়, তারা মনে করে গাজায় চলমান মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহায়তা ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে যাত্রারত মানবাধিকারকর্মীদের আটক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানবিক আচরণের পরিপন্থী। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবিক সহায়তার মৌলিক অধিকারের ওপরও সরাসরি আঘাত।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে শহিদুল আলমের নিরাপদ মুক্তির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ফ্রিডম ফ্লোটিলা অভিযানে অংশ নেওয়া সব মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, জাহাজের ক্যাপ্টেন ও স্টাফদের অবিলম্বে মুক্তির জন্যও যাতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এইচআরএফবির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ব্লাস্ট-এর নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী ফওজিয়া মোসলেম, নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাস, এইচআরএফবির বিশেষজ্ঞ হামিদা হোসেন, চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়, আইনজীবী সুলতানা কামাল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, স্টেপস–এর নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, অ্যাসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সরদার জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ফেয়ার–এর নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান জামান, এইচআরএফবির সদস্য খুশী কবির, পল্লব চাকমা, রোকেয়া রফিক বেবী, আবদুস সাত্তার দুলাল এবং আশরাফুন্নাহার মিষ্টি।

আরও পড়ুন