রুমার সড়ক দুর্ঘটনা: তদন্ত কমিটি গঠন, আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেলে
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ২টি ট্রাকের সংঘর্ষে আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের হাত–পা ভেঙেছে, কারও মাথায় আঘাত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের বান্দরবান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আজ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
যেকোনো স্পর্শকাতর দুর্ঘটনা ঘটলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের নিয়ম রয়েছে। সে অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কমিটি কাজ করবে। ডিসি বলেন, দুর্গম এলাকা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের কারণে বগালেকের দিকে এখন যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই প্রতিবেদন দিতে একটু সময় লাগবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে জেলা পুলিশ সুপার, বিআরটিএ–এর সহকারী পরিচালক এবং বুয়েটের একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন।
এদিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে একটি শিশুসহ নয়জন নারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিউরো সার্জারি ও অর্থোপেডিক বিভাগে আটজনকে ভর্তি করা হয়েছে। অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান চন্দন দাশ বলেন, কিছু রোগী এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আবার দু–একজনকে নিউরো সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন চিং নেম সিয়াম (২৭), টিয়ান হাই (৪৫), লাভলি পার বম (২২), চুংবিক ময় বম (৩), পার কুম ময় (৪৫), লাল পিয়াম কিম (৪১), লাল নুং নেম (৫২), পার এং ময় বম (৩৮), লাল লুং নেইন বম (৫৫) ও জিননুন ময় (২৬)।
গতকাল সোমবার দুপুরে বগালেক সড়কে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে তাঁরা আহত হন। এ ঘটনায় পাঁচ নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। বম সম্প্রদায়ের এই নারীরা সরকারি চাল নিতে রুমা বাজারে যাচ্ছিলেন।
লাল চিং পার বম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, তাঁরা চাল আনতে বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁর নানি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর পুলিশ ট্রাক দুটি আটক করেছে। তবে চালক পলাতক রয়েছেন।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন। গাড়ির মালিকের খোঁজ চলছে।