আপনাদের জন্য কিছু করলে এ সরকারই করবে: আহতদের হাসনাত

বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। রাজধানীর মিন্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে, রোববার দিবাগত রাতেছবি: সাজিদ হোসেন

আন্দোলনরত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের উদ্দেশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আপনাদের (আহতদের) দাবি অন্য কোনো সরকার নয়, একমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারই পূরণ করবে।

রোববার দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন হাসনাত।

এর আগে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৭ দফা দাবিতে রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা।

আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলোর জন্য মধ্যরাতেই যমুনার সামনে যান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘আপনাদের জন্য কোনো সরকার যদি কিছু করে, তাহলে এটা এই সরকারই করবে। আপনাদের লিখে দিচ্ছি, এই সরকার যদি না করে, তাহলে আর কোনো সরকারই করবে না।’

রাজধানীর মিন্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। তাঁদের একজন বসে আছেন হুইলচেয়ারে। রোববার দিবাগত রাতে
ছবি: সাজিদ হোসেন

আন্দোনরতদের সাত দফা দাবি হলো—চব্বিশের শহীদদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ বিচার করা, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের বিভিন্ন সরকারি পদ থেকে অপসারণ ও গ্রেপ্তার করা, আহতদের ক্যাটাগরি সঠিকভাবে প্রণয়ন করা, আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, আহতদের চিকিৎসার সর্বোচ্চ সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা, আহত ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আহতদের আর্থিক অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোসহ ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়টি সুসংহত করা।

আরও পড়ুন

সাত দফা দাবির বিষয়ে কিভাবে কাজ চলছে সেটা আন্দোলনরতদের সামনে ব্যাখ্যা করেন হাসনাত। তাঁদের কয়েকটি দাবি এ সপ্তাহের মধ্যে পূরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ‘প্রথম দাবির কাজ চলমান। এ সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভব। দ্বিতীয় দাবিটি চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। তৃতীয় দাবি এ সপ্তাহের মধ্যে পূরণ করা হবে। চতুর্থ দাবিও চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তবে এর জন্য একটি মিটিং করতে হবে…।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের এমন আশ্বাসের পর আন্দোলনরত আহতরা যমুনার সামনের সড়ক ছেড়ে যান।

আরও পড়ুন

এর আগে রোববার দিনভর রাজধানীর আগারগাঁও ও শ্যামলীতে মিরপুর রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। ওই রাস্তা ছেড়ে সন্ধ্যার পর তাঁরা মিন্টো রোডে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করেন। রাত পৌনে আটটায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরে সেখানেই তাঁরা অবস্থান নেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাঁরা যমুনার সামনে চলে আসেন।

আরও পড়ুন