দুই ঘণ্টা পর ফার্মগেটের সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল শুরু
রাজধানীর ফার্মগেটের সড়ক থেকে সরে গেছেন তেজগাঁও কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়েন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার (১৮) মৃত্যুর জেরে আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ শুরু হয়।
অবরোধ-বিক্ষোভে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।
ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা বের হন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। এ বিষয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান সকালে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীরা প্রথমে কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা ফার্মগেট মোড় এলাকার সড়ক অবরোধ করেন, বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি বলেন, কয়েক শ শিক্ষার্থী সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট মোড়সহ সংশ্লিষ্ট সড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা নানা স্লোগান দেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
তেজগাঁও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে এই অবরোধ-বিক্ষোভ হয়। সড়কে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল—তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মিছিল, মানববন্ধন। সাকিব হত্যার বিচার দাবি।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তেজগাঁও কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সহপাঠীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে রায়হান ইসলাম বলেন, যাঁরা মেরেছেন, তাঁদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারে ফাঁসি দিতে হবে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাকিবুল হত্যায় মামলা হয়েছে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান। পরে যান চলাচল শুরু হয়।