ডিপিডিসি ও ডেসকোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন এক জায়গায় একই সময় লোডশেডিং করা হচ্ছে না। এলাকাভেদে প্রতিদিন লোডশেডিংয়ের সময়ের ভিন্নতা থাকছে। আপাতত রাজধানীতে প্রতিদিন একটি এলাকায় এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত সোমবার। এ লোডশেডিং হতে পারে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত। আর এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রলপাম্প। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ওই সভা শেষে বলেন, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আজ থেকে সাময়িক বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতির উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।
লোডশেডিং শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারের চেয়ে গতকাল বুধবার উৎপাদন কিছুটা বাড়িয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রাবণের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুতের চাহিদা কমায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা আগের দিনের চেয়ে কমেছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহ পাওয়ায় গ্রাম এলাকাগুলোয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। গতকাল দ্বিতীয় দিনেও লোডশেডিংয়ের রুটিন (সময়সূচি) মানা যায়নি ঢাকার বাইরে।
ডিপিডিসি ও ডেসকোর আওতাভুক্ত রাজধানীর যেসব এলাকায় আজ লোডশেডিং হবে: