টাকা খরচ হলেও ঢাকা পরিচ্ছন্ন হয়নি

রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে দুই সিটি করপোরেশন গত তিন বছরে ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা খরচ করেছে। এত টাকা খরচের পরও ঢাকা পরিচ্ছন্ন হয়নি।

ঢাকা উত্তর সিটির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে নেই সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)। সাতারকুল সেতুসংলগ্ন খালের পাশে খালি জায়গায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। গত শুক্রবারে
ছবি: প্রথম আলো

আর যা–ই হোক গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি বা উত্তরার কিছু এলাকার সড়ক পার হওয়ার সময় নাকে হাত বা রুমাল চেপে ধরতে হয় না। এসব এলাকায় রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনাও সাধারণত পড়ে থাকতে দেখা যায় না।

ধুলাবালুর যন্ত্রণাও কম। এর ঠিক উল্টো চিত্র মালিবাগ, মেরাদিয়া বা কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগে। এর মধ্যে মেরাদিয়া বাজারের পাশ দিয়ে গেলে উৎকট গন্ধ নাকে এসে লাগবেই। সেখানে রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা।

যদিও রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন গত তিন বছরে ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা খরচ করেছে। এত টাকা খরচের পরও রাজধানী ঢাকা পরিচ্ছন্ন হয়নি। দুই সিটির অনেক এলাকার সড়ক নোংরা, অপিরচ্ছন্ন থাকে। এ রকম পরিস্থিতি বছরের পর বছর চলে আসছে।

এ পরিস্থিতি পাল্টানোর দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের প্রধান কাজগুলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিজ এলাকার সড়ক, ইমারত ও বিভিন্ন জায়গা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ অপসারণ।

আরও পড়ুন
পড়ে আছে ময়লা–আবর্জনা। মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এসটিএসের সামনে। গত শুক্রবারের ছবি
ছবি: প্রথম আলো

বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কী অবস্থা, তা একটি ছোট্ট তথ্যেই পরিষ্কার হবে। ঢাকা উত্তর সিটিতে ওয়ার্ড রয়েছে ৫৪টি। আর অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র বা এসটিএস রয়েছে ৩২টি ওয়ার্ডে। এর অর্থ হচ্ছে ২২টি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ করার মতো ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ওয়ার্ড রয়েছে ৭৫টি। এর মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর (অস্থায়ী) কেন্দ্র রয়েছে। বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে আদতে কিছু নেই। এসবের ফল হচ্ছে বর্জ্য পড়ে থাকছে যত্রতত্র।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল শনিবার পালিত হয়ে গেল ‘বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস’। নিজের শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশ্বজুড়ে ২০১৮ সাল থেকে পালিত হচ্ছে এই দিবস। এ বছর ১৯১টি দেশে পরিচ্ছন্নতা দিবস পালন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মূলত সরকার, সরকারি সংস্থা এবং নাগরিকদের যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্নতা দিবস পালনের ধারণাটি এসেছে। গতকাল এই দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকার দুই সিটি কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মসূচি ছিল না। নাগরিক সংগঠন বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মধ্যে কেউ গতকাল সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।

দুই সিটিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১০ হাজার ১৭৭ জন

ঢাকার দুই সিটিতে পরিচ্ছন্নতার কাজে যুক্ত রয়েছেন ১০ হাজার ১৭৭ জন কর্মী। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটিতে ৫ হাজার ৪১২ জন এবং উত্তর সিটিতে ৪ হাজার ৭৬৫ জন কাজ করছেন। এসব কর্মী মূলত রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করেন। আর বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর তা এসটিএস বা অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে আসেন সিটি করপোরেশনের অনুমতি পাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।

দিনের বেলায় রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া হলে ধুলা ওড়ে, মানুষের ভোগান্তি হয়, তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এই কাজ রাত নয়টার পর শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আগে এই কাজ শুরু হতো ভোর থেকে। তবে মেয়রের নতুন নির্দেশনা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই কাজ করছেন।

তবে যত কর্মী এই কাজে যুক্ত, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় সকালে রাস্তায় বর্জ্য পড়ে থাকত না, ধুলাও এতটা উড়ত না। এ প্রসঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় এখন বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণের কারণে ওই সব এলাকার সড়কে ঝাড়ু দেওয়া যায় না। ফলে কিছু রাস্তায় বর্জ্য পড়ে থাকে। আবার বছরজুড়েই বিভিন্ন সংস্থা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করায় নগরবাসীকে ধুলার যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে।

তবে গত ১৫ বছরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তায় বর্জ্য পড়ে থাকা নিয়ে প্রতিনিয়ত নাগরিকদের কাছে থেকে অভিযোগ আসে। সিটি করপোরেশন সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে। রাতারাতি সবকিছু আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে, এটা সম্ভব নয়। ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

মোট ৪১টি ওয়ার্ডে এসটিএস নেই

বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য প্রথমে অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে জমা করা হয়। সেখান থেকে বর্জ্য নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বর্জ্যের ভাগাড় বা ল্যান্ডফিলে।

দুই সিটির যেসব ওয়ার্ডে এসটিএস নেই, সেখানে বাসাবাড়ির বর্জ্য উন্মুক্ত স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। এসটিএস না থাকা ঢাকা উত্তর সিটির ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ১৩, ২০, ২৫, ২৮, ৩৩ এবং ৩৮ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত। এর মধ্যে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড মিরপুরের মণিপুর ঢাকার অন্যতম জনবহুল এলাকা। এসটিএস না থাকায় মিরপুর ২ নম্বর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬০ ফুট সড়কের অন্তত পাঁচ জায়গায় আবর্জনা পড়ে থাকা নিত্যদিনের ঘটনা।

দুই সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জায়গাসংকটের কারণে প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা যায়নি। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পুরোপুরি শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, এ জন্য জাইকার সহায়তার ২০৩৫ সাল পর্যন্ত একটি মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে যত উদ্যোগ নেওয়া হোক না কেন, জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলে এবং সাধারণ মানুষের আচরণ ঠিক না হলে এ খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো কঠিন হবে। 

তিন বছরে খরচ দুই হাজার কোটি টাকা

দুই সিটির বর্জ্য ব৵বস্থাপনা বিভাগের সূত্রে জানা যায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নকাজে ঢাকা দুই সিটি গত তিন বছরে প্রায় ১ হাজার ৯২১ কোটি টাকা খরচ করেছে। বিপুল পরিমাণ এই ব্যয়ের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি খরচ করেছে প্রায় ৯১৭ কোটি টাকা। আর দক্ষিণ সিটি খরচ করেছে অন্তত ১ হাজার ৪ কোটি টাকা। অবশ্য এই টাকার মধ্যে স্থায়ীভাবে বর্জ্য রাখতে জমি অধিগ্রহণ খাতে দক্ষিণ সিটি ৫০২ কোটি এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে উত্তর সিটি ব্যয় করেছে ৩৩৬ কোটি টাকা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত তিন বছরে তাঁরা ৩২টি এসটিএস নির্মাণ কাজে ৪৩ কোটি টাকা, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ও পরিচ্ছন্ন পরিদর্শকদের বেতন ভাতা বাবদ প্রায় ৩৭৯ কোটি, বর্জ্য পরিবহন কাজে পরিবহনে এক কোটি টাকা, ল্যাল্ডফিলের উন্নয়নে ২৪ কোটি এবং ল্যান্ডফিলের জমি অধিগ্রহণ প্রায় ৫০২ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

আর উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের দেওয়া নথি বলছে, পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত কর্মীদের বেতন–ভাতা, অস্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় ময়লার ভাগাড়ে বর্জ্য পরিবহন করা এবং ল্যান্ডফিলের রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক কাজে সংস্থাটির ৫৮১ কোটি টাকা এবং জমি অধিগ্রহণ খাতে ৩৩৬ কোটি খরচ করেছে।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে বর্জ্যের চাহিদা বাড়বে বলে মনে করেন দুই সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, এই কাজটি করা গেলে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখার চিত্র কমে আসবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ জন্য সংস্থাটি ইতিমধ্যে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও চালুর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতে আরও প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগবে।

আর পুরোপুরিভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে কমপক্ষে আড়াই বছর সময় লাগবে। আমিনবাজারে সিটি করপোরেশনে স্থায়ী বর্জ্যের ভাগাড়ের পাশেই এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে তাঁরা একটি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করেছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করপোরেশনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে এখন চিঠি চালাচালি হচ্ছে।

দক্ষিণ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, মাতুয়াইলে কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে বর্জ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

টাকা যাচ্ছে নাগরিকদের পকেট থেকে

সিটি করপোরেশন বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে না। তারা ময়লা নেয় এসটিএস থেকে। আর বাসাবাড়ি থেকে এসটিএস পর্যন্ত ময়লা নেয় সিটি করপোরেশন থেকে অনুমতি নেওয়া বিভিন্ন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। বাসাবাড়ি ও রেস্তোরাঁর বর্জ্য সংগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠেছে অর্থ লুটপাটের বিশেষ চক্র। তাঁদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্জ্য সংগ্রহে এলাকাভেদে বাসাপ্রতি মাসে ৮০ থেকে ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। গুলশান, বনানীর মতো এলাকায় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা উত্তর সিটির বোর্ড সভায় বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের ফি নির্ধারণ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তুলনামূলক উচ্চবিত্তদের বসবাস যেখানে, সেখানে মাসে ১০০ টাকা এবং তুলনামূলক অনুন্নত এলাকায় ৫০ টাকা করে বর্জ্য সংগ্রহের বিল নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজকতা ঠেকানোর পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেড় বছরের বেশি সময় পরও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটিতে বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের ফি ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বর্জ্য সংগ্রহকারীরা তা মানছেন না।

২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘ময়লা বাণিজ্যে কাউন্সিলররা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীবাসীকে জিম্মি করে বছরে অন্তত ৬১২ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন।

মানুষ কোথায় বর্জ্য ফেলবে, সেটি ঢাকার সব ওয়ার্ডে এখনো নির্ধারণ করা যায়নি বলে প্রথম আলোকে বলেছেন নগর–পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাজ শুধু প্রকল্প ও যন্ত্রপাতি কেনানির্ভর। পরিচ্ছন্ন ঢাকা—এই মানসিকতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এখন পর্যন্ত করতে পারেনি।