সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসের রিমান্ড

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুসফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হট্টগোল ও মারামারির মামলায় আইনজীবী রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তিনি বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী আজ রোববার রিমান্ডের আদেশ দেন।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রুহুল কুদ্দুসকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দিকে রুহুল কুদ্দুসের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রাজধানীর তোপখানা রোড থেকে রুহুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দুই দিনের ভোট গ্রহণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ভোট গণনা নিয়ে শুক্রবার ভোরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই দিন ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়।

হট্টগোল ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ)। মামলায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন সাইফুর রহমান। সেখানে আইনজীবী নাহিদ সুলতানাকে (যুঁথী) প্রধান এবং রুহুল কুদ্দুসকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। নাহিদ সুলতানা যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

এ ঘটনায় এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন আইনজীবী ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন