কাফরুলে নারীকে হত্যায় ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানাল পুলিশ

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর কাফরুলে সীমা বেগম নামের এক নারীকে হত্যার অভিযোগে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাফরুল থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে বলে ডিএমপি নিউজ জানায়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন এস এম আশিকুর রহমান ওরফে নাহিদ (২৭), জাকিয়া সুলতানা ওরফে আইরিন (২২), আসেক উল্লা (৫০), রোকেয়া বেগম (৪০), শাহজাহান শিকদার (৫০) ও সাকিব (২০)।

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, আজ সোমবার রাজধানীর উত্তরখান এলাকা থেকে নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন ভোরে কাফরুলের ইমাননগর ও আশপাশ এলাকা থেকে জাকিয়া, আসেক, রোকেয়া, শাহজাহান ও সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেলিমুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ছয় ব্যক্তিই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁদের ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আজ সকালে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দীন বলেছিলেন, সীমার পরিবারের পক্ষ থেকে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। তাঁর এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সীমার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাত আসামির মধ্যে ছয়জনকে ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

গতকাল রোববার দুপুরের দিকে কাফরুলের একটি ভবনের সাততলা থেকে সীমা বেগমের (৩১) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, সীমাকে শ্বাসরোধের পাশাপাশি কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

সীমা হত্যার ঘটনায় আজ ভোরে তাঁর ভাই মো. হেলাল করিম সাতজনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন সীমার সৎছেলে নাহিদ, নাহিদের স্ত্রী জাকিয়া, নাহিদের শ্বশুর আসেক, শাশুড়ি রোকেয়া, শ্যালক সাকিব, মামাশ্বশুর নাসির ও সীমার স্বামী শাহজাহান।

হেলালের ভাষ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিকভাবে সীমা ও শাহজাহানের বিয়ে হয়। এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি নাহিদ।

শাহজাহানের আর্থিক অবস্থা ভালো। তিনি কার্টন ফ্যাক্টরির মালিক। বেশ কিছুদিন ধরে নাহিদ তাঁর নামে সম্পত্তি লিখে দিতে বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। সীমা তাঁর মা-বাবাকে সাংসারিক অশান্তির কথা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে যে এভাবে খুন হতে হবে, তা তাঁরা বুঝতে পারেননি।

আরও পড়ুন

পুলিশ সীমার লাশ উদ্ধার করে তাঁর শোয়ার ঘরের খাটের ওপর থেকে। পুলিশ জানায়, সীমার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরের পেছনের অংশ পুড়ে যাওয়া। লাশের পাশে একটা লুঙ্গি পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, লুঙ্গি দিয়ে শ্বাসরোধের পরে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন