সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় একটি ফসল রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁওয়ে জায়গায় এই ঘটনা ঘটে।
ধসের পরপরই স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক আশপাশের চার গ্রামের শতাধিক মানুষ ছুটে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে যোগ দেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্থানীয় ব্যক্তিরা বাধ রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
স্থানীয় কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁও গ্রামের হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে। যার মাধ্যমে সাতটি জায়গায় খালের মুখ বন্ধ করার কথা। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় গোড়ারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের খালের মুখের বাঁধ ধসে যায়। গোড়ারগাঁও গ্রামের কৃষকদের নজরে এলে তাঁরা গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে বেড়িবাঁধ রক্ষার আহ্বান জানান। এরপর গোড়ারগাঁও, মজিদপুর, নাদামপুর, ইজলা গ্রামের শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে যোগ দেন।
নাদামপুর গ্রামের বাসিন্দা কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গোড়ারগাঁও গ্রামের ফসল রক্ষা বাঁধ ধসে গেছে। এ বাঁধ দিয়ে পানি ঢোকা শুরু হলে উপজেলার বৃহৎ হাওর নলুয়ার হাওরে পানি ঢুকে ফসলহানির শঙ্কা থাকে।
মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা লায়েক আহমেদ বলেন, সঠিকভাবে বাঁধের কাজ না হওয়ায় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসার আগেই পানির তোড়ে ধসে গেছে বাঁধ। পরে চার গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করেন।
ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কমিটির (পিআইসি) সভাপতি অর্জুন দাশ বলেন, ‘আমি পাউবোর প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করেছি। সাতটি স্পটে মাত্র তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি এলাকাবাসীর সাথে সহযোগিতা করে ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ করছি।’
পাউবোর জগন্নাথপুর উপজেলার মাঠকর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, গোড়ারগাঁও স্কুলের পাশের বেড়িবাঁধটি পাউবোর একটি বাঁধ। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।