ধর্মঘট উপেক্ষা করে অনেক চালক অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। আজ সকালে নগরের কাজীরবাজার ব্রিজে
ছবি: প্রথম আলো

সিলেট নগরের কাজীরবাজার ব্রিজে আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। অটোরিকশার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকছিলেন এর চালকেরা। যদিও আজ সকাল ছয়টা থেকে সিলেট জেলায় সব ধরনের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে ধর্মঘট উপেক্ষা করে নগরের বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।

দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশার এক চালককে ধর্মঘটের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই তিনি বললেন, ‘পেটে তো আর ধর্মঘট মানে না। গাড়ি বসিয়ে রাখলে কী খাব? যাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন, তাঁরা তো ঘরে খাবার পৌঁছে দেবেন না!’ কথাগুলো বলেই আবার যাত্রী ডাকা শুরু করলেন ওই চালক।

আরও পড়ুন

সিলেটে মোড়ে মোড়ে পুলিশ, তবে বাধা দিচ্ছে না কাউকে

এর মধ্যে আক্তার হোসেন নামের এক যাত্রী ওই অটোরিকশায় উঠলেন। আক্তার হোসেন বললেন, নিজের মোটরসাইকেল কিংবা ব্যক্তিগত যান নেই। এ জন্য আজকে অটোরিকশাই ভরসা। কিন্তু কয় দিন পরপর ধর্মঘটের কারণে যাত্রীরা বেকায়দায় পড়েন। অনেক সময় পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়া-আসা করতে হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ চার দফা দাবি জানিয়ে আজ দিনব্যাপী সব ধরনের গণপরিবহনে ধর্মঘটের ডাক দেয়। অন্যদিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজন এবং নতুন করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন না দিতে আজ সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘটের ডাক দেয়। দুটি ধর্মঘটই আজ সকাল ছয়টায় শুরু হয়েছে।

তবে আজ সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর, চণ্ডীপুর, আম্বরখানা, লামাবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মঘট উপেক্ষা করে কিছু কিছু অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে অটোরিকশার সংখ্যা অন্য দিনের তুলনায় কম।

আম্বরখানা মোড়ের অটোরিকশাচালক জুবায়ের ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো জানি, বড় গাড়িগুলোর ধর্মঘট। আমাদের ধর্মঘট জানা নেই।’

ধর্মঘটের দিন অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের জানিয়েছি। তবে কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না।’

আরও পড়ুন

পাড়া-মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল মিশছে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে

এদিকে আজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির নেতাদের দাবি, সরকার বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনদের দিয়ে এসব ধর্মঘট ডাকিয়েছে।