খুলনায় ৬৬ ঘণ্টা পর ট্যাংকলরিশ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
টানা ৬৬ ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরিশ্রমিকেরা। প্রশাসনের আশ্বাসে আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে আবার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে খুলনা নগরের অধিকাংশ পাম্পে জ্বালানির মজুত প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।
এর আগে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত রোববার বেলা দুইটা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ট্যাংকলরিশ্রমিকেরা।
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন বোরো চাষের মৌসুম চলছে। কৃষকদের যাতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, বিষয়টি মাথায় রেখে এবং খুলনার মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা সকাল থেকে কর্মবিরতি তুলে নিয়েছি। সকাল থেকে তেল উত্তোলন করা শুরু হয়েছে।’
ট্যাংকলরিশ্রমিকদের এই নেতা বলেন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন যে আলী আজিমের জামিনের প্রক্রিয়ায় তাঁরা যথাযথ সহায়তা করবেন।
শ্রমিকনেতাদের সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে আটক করে খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত বছরের ২১ আগস্ট খুলনা নগরের খালিশপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা এক মামলার আসামি তিনি। এতে ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির চারজনসহ সাবেক দুজন নেতা ও তিন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত রোববার থেকে যৌথভাবে কর্মবিরতির ডাক দেয় খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন, পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও জ্বালানি তেল-সম্পর্কিত অন্য দুটি সংগঠন।
খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপোর কর্মকর্তারা জানান, খুলনার এই তিনটি ডিপো থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৬ লাখ লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ২৭ লাখ লিটারই ডিজেল। খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলায় খুলনা থেকে তেল সরবরাহ করা হয়।