সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাঁর কর্মী-সমর্থকদের আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিবৃতি পাঠান। এতে তিনি দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান। কোনোভাবেই নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করা যাবে না বলে আনোয়ারুজ্জামান বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আনোয়ারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনারা আমাকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্তর থেকে আপনাদের ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। আপনাদের ভালোবাসার ঋণ কোনো দিনই শোধ হওয়ার নয়। এ জন্য আমি আপনাদের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।’
বিবৃতিতে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘ইদানীং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু নেতা-কর্মীর অতিউৎসাহ কেবল তাঁকেই নয়, আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলকেও প্রশ্নের মুখোমুখি করে দিচ্ছে। বিশেষ করে কারও কারও প্রচারণার ধরন নিয়ে কেউ কেউ কষ্ট পাচ্ছেন। এ ধরনের প্রচারণা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে আওয়ামী লীগ বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনায়। তাই সবার আচরণে যেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকেরা মনে কষ্ট না পান, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
বিবৃতিতে আনোয়ারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি জানি, আমার জন্য আপনাদের ভালোবাসার কোনো কমতি নেই। তবে আপনাদের নির্বাচনী কর্মতৎপরতা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে না যায়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে। ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো থেকে শুরু করে লিফলেট বিতরণ, জনসভা, গণসংযোগসহ যাবতীয় কাজ যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে করা হয়, সবার প্রতি আমার এ অনুরোধ রইল।’
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।