ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসক পরিষদ আগামীকাল রোববার কাজে ফিরবে। রোগীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে আজ শনিবার তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয়। রোগী দেখা নিয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গত বুধবার রাত থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মাহিদুল হক বুধবার রাতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত সব সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে পুনরায় আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। রোগীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে কক্সবাজার পুলিশ লাইনসে কর্মরত এসআই মাহমুদুল হাসানের স্ত্রীকে সময়মতো চিকিৎসক দেখতে না যাওয়ায় ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হন। এরপর তিনি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্তব্যরত শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসকের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। এর জেরে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও হাসপাতালের ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আট শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের অভিযোগ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা সমাধান করতে কয়েকজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। তবে পুলিশের ভাষ্য, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ, ওই সময় ফাঁড়িতে মাত্র ছয়জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে কমপক্ষে ১৫০ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সে সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাকা দেন। এ কারণে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত চিকিৎসকেরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দাবির মুখে ঘটনার কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বুধবার রাতে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ দুজনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আপাতত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফাঁড়িটি স্থগিত রাখা হয়েছে। পুলিশ লাইনসের পুলিশ দিয়ে সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।