পিকআপে মিনি মঞ্চ বানিয়ে হিরো আলমের জমজমাট প্রচারণা

বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) দুই সংসদীয় আসনে জমজমাট প্রচারণা চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আজ শনিবার সকাল থেকে সুসজ্জিত পিকআপ ভ্যান নিয়ে বগুড়া শহরের খান্দার, কইগাড়ি, সাতমাথা, জলেশ্বরীতলা এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হিরো আলম প্রচারণা চালান।

সরেজমিনে দেখা যায়, হিরো আলমের পিকআপ ভ্যানেই বানানো হয়েছে মিনি মঞ্চ। সেখানে প্যান্ডেলের সঙ্গে লাগানো মাইক। মাইকে বাজছে হিরো আলম ও একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী গান। পিকআপের দুই পাশে ঝুলছে হিরো আলমের ছবি ও ‘একতারা’ প্রতীক-সংবলিত ব্যানার। হিরো আলমের পোশাকেও ছিল চমক। তাঁর পরনে সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে ধূসর-তামাটে রঙের কটি।

আরও পড়ুন

হিরো আলম পিকআপে দাঁড়িয়েই হাত নেড়ে ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। মাঝেমধ্যে পিকআপ থেকে নেমে ভোটারদের সঙ্গে করমর্দন করছেন, ‘একতারা’ প্রতীকে ভোট চাইছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে বিপদে-আপদে সব সময় এলাকাবাসীর পাশে থাকবেন বলে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ সময় ভোটারদের অনেকেই তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা গেছে।

শহরের সাতমাথায় একজন ভোটারের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘টাকাওয়ালা, ক্ষমতাবান, সুন্দর চেহারার শিক্ষিতদের ভোট দিয়েছেন, একবার অদম্য সাহসী হিরো আলমকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা নেন। ১০ মাসের জন্য সংসদে পাঠান, রাতারাতি হয়তো জনগণের ভাগ্য বদলে দিতে পারব না, তবে এমপির সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টে দেব।’

আরও পড়ুন

হিরো আলম বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, দুই আসনেই সমানতালে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। সবখানে ভোটারদের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে তিনি অভিভূত। ভোট অবাধ হলে ‘একতারা’ প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দিনভর বগুড়া-৪ আসনের কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ চালান হিরো আলম।

আরও পড়ুন

দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি আসন দুটিতে ভোট গ্রহণের কথা আছে।

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের তালিকায় গরমিল থাকার অভিযোগে প্রথমে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পরে নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এরপর উচ্চ আদালতে রিট করে প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম।

আরও পড়ুন