নড়িয়ায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

নড়িয়ার বাহেরকুশিয়া এলাকায় পুড়িয়ে দেওয়া নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প। শুক্রবার সকালে
ছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নৌকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নে অস্থায়ী ওই ক্যাম্পটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে নৌকা প্রতীকের ১টি ব্যানার, ১০টি চেয়ার ও ক্যাম্পটির চারপাশের কাপড় পুড়ে গেছে।

একই সময় ঘড়িসার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সমন্বয়ক লিটন মোল্যার বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ ছাড়া ভুমখারা ইউনিয়নে নৌকার আরেকটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন

নড়িয়া থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খালেদ শওকত আলী। এ ছাড়া আরও ৮ জন প্রার্থী আসনটিতে নির্বাচন করছেন। ১৯ ডিসেম্বর থেকে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ১০ নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনায় নড়িয়া থানা ৫টি মামলা করা হয়েছে।

নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা জানান, নড়িয়া-ঘড়িসার সড়কের বাহিরকুশিয়া এলাকায় সড়কের পাশে নৌকার একটি অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। আজ ভোররাতের দিকে দুর্বৃত্তরা ওই ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ক্যাম্পের একটি অংশের কাপড়, নৌকার ব্যানার ও ১০টি চেয়ার পুড়ে যায়। একই সময় রাহাপাড়া গ্রামে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঘড়িসার ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের সমন্বয়ক লিটন মোল্যার বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

আরও পড়ুন

লিটন মোল্যা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ও আমাকে ভয় দেখাতে বাড়ির সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছি। কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।’

আরও পড়ুন

এ ছাড়া ভুমখারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আজ ভোরে আমার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার একটি ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।  স্থানীয় ব্যক্তিরা আগুন নিভিয়ে ফেলার কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। কারা কী উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তার তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

আরও পড়ুন