২০১১ সালে র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন আকনকে (৬০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। ওই মামলায় ইব্রাহিম হোসেন (৪৮) নামের এক আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
পা হারানো লিমনের ভাঙা হলো হাত
আজ সোমবার ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক মো. আবুল কালাম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এম এ জলিল প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম হোসেন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
হামলাকারীরা তোফাজ্জেলকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। তোফাজ্জেল হোসেনের একটি হাত ভেঙে যায়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে জমিজমা–সংক্রান্ত বিরোধের কারণে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল দুপুরে মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন লিমনের বাবা মো. তোফাজ্জেল হোসেন আকনের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা তোফাজ্জেলকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। তোফাজ্জেল হোসেনের একটি হাত ভেঙে যায়। এ ঘটনার পরের দিন লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন মুন্না ২০১৯ সালের ২৭ মে ৬ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতেই ২০১১ সাল থেকে ইব্রাহিম আমাদের পেছনে লেগে আছে। সে র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করত। ২০১১ সালের ২৩ মার্চ এই ইব্রাহিম র্যাবকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার ছেলে লিমনকে গুলি করায়। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর, এত দিন পর হলেও কিছু একটা বিচার পেয়েছি।’
র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেন আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।