সড়কের ধর্মঘট এড়াতে নৌপথে সিলেট আসছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগে নৌপথে আসছেন নেতা–কর্মীরা। শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরের সুরমা নদীর মুজমদার পাড়া খেয়াঘাটে
ছবি: প্রথম আলো

শুক্র ও শনিবার দুই দিনের বাস ধর্মঘট। সড়কপথের ধর্মঘট এড়িয়ে সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে নৌপথে এসেছেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। নৌপথে ধর্মঘট না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিলেট নগরের কানিশাইল মজুমদার পাড়া খেয়াঘাটে আসে আটটি বাল্কহেড। প্রতিটি বাল্কহেডে ৮০ থেকে ১০০ জন করে নেতা-কর্মী সিলেটে পৌঁছান। সড়কপথের এক থেকে দেড় ঘণ্টার পথ নৌপথে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগছে বলে জানিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুন

ওই খেয়াঘাটে আগে থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। সুনামগঞ্জের আটটি বাল্কহেড ঘাটে পৌঁছালে হাততালি ও স্লোগান দিয়ে নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানান তাঁরা।

ছাতক মোল্লাপাড়া থেকে আসা নৌকাচালক আবদুল গফুর বলেন, সকাল ১০টায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন। বেলা সাড়ে তিনটায় সিলেটের ঘাটে এসে পৌঁছান। সিলেট পৌঁছানোর আগে লামাকাজি এলাকায় পুলিশ নৌকা থামাতে বলেছিল। কিন্তু তাঁরা নৌকা থামাননি।

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, গাড়ি বন্ধ করা হয়েছে। বাধ্য হয়েই নৌকা নিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘যত বাধা আসুক, আমরা দমব না। সিলেটের সমাবেশ সফল হবেই।’

আরও পড়ুন

দোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মামুন মিয়া বলেন, বাধা দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা আরও সমাবেশে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এরই প্রমাণ নৌপথে নেতা-কর্মীদের এ ঢল। তিনি বলেন, আরও পাঁচটি নৌকা পথে রয়েছে। শনিবারের মধ্যে দুই উপজেলা থেকে কমপক্ষে আরও পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন।

ছাতক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মনসুর আলী নৌপথে আসা নেতা-কর্মীদের জড়ো করছিলেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা মিজান চৌধুরীর নির্দেশনায় নেতা-কর্মীদের অভ্যর্থনা জানাতে তিনি ঘাটে এসেছেন। নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থলে নিয়ে যাবেন তিনি।

আরও পড়ুন