চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আরও পাঁচজন গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম ওরফে জেম (৪৮) হত্যা মামলায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার হুজরাপুর কালিপাড়া মো. মিলন ওরফে বেলাল ইসলাম (৩৫), হুজরাপুর কাজিপাড়ার সাজু ইসলাম (২৮), হুজরাপুর রেলবাজার মহল্লার নিতাই চৌধুরী (৪৫), ইসলামপুর মহল্লার নূর আলম (৩২) ও সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের বেহুলা গ্রামের মো. রানা ওরফে ছোট রানা (৩০)। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রেলবাজার গ্রাম থেকে গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত বুধবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত খাইরুল আলমের ওপর হামলা করে। এ সময় তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে তারা। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মারা যান তিনি। শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। খাইরুল আলম জেলা যুবলীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ছিলেন। খাইরুল আলম হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর গত শনিবার মামলা নিয়েছে পুলিশ। খাইরুল আলমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় পৌরসভার মেয়রসহ ৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।