একজন ব্যক্তি যেন না বলতে পারেন, তাঁর ভোট আগেই দেওয়া হয়েছে: ইসি আহসান হাবিব

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। বুধবার সকালেছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। একটাও জাল ভোট হবে না। কোনো ব্যক্তি যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বলতে না পারেন যে আমার ভোট তো দেওয়া হয়ে গেছে। যদি এমন কোনো কেস পাওয়া যায়, তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ওই টিমকে তাৎক্ষণিক সাসপেন্ড করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে তাঁদের চাকরিচ্যুত করতে যা যা করা দরকার, তা–ই করা হবে।’

আরও পড়ুন

আজ বুধবার সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি আহসান হাবিব খান। সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি।

আরও পড়ুন

এ সময় ইসি বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় পৃথিবীর কাছে, দেশের আপামর ভোটারদের কাছে এবং নিজেদের বিবেকের কাছে যেন প্রমাণ করতে পারি, এমন সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি। এই নির্বাচন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং অংশগ্রহণকারীদের কাছে অনুকরণীয়, অনুসরণীয় করতে জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।’

আরও পড়ুন

নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি বলেন, এখন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হয়েছে। ছবি মিলিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। একজন ব্যক্তি যেন না বলতে পারেন, তাঁর ভোট আগেই দেওয়া হয়েছে। কোথাও যেন জাল ভোট না দেওয়া হয়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার কথা বলেন ইসি।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, বিভিন্ন আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন