রাজু সরদারের মেডিকেলে পড়ার খরচ নিয়ে চিন্তা কাটল ভ্যানচালক বাবার

মা-বাবার সঙ্গে রাজু সরদার। যশোরের অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামেছবি: প্রথম আলো

মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ নিয়ে যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজু সরদারকে আর চিন্তা করতে হবে না। তাঁর মেডিকেলে ভর্তির খরচ দিয়েছে অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন। পড়াশোনা করার খরচ বহনের কথা জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এপেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

রাজু সরদার উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের নাজমুল সরদারের ছেলে। তিনি এবার নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিল তাঁর পরিবার। অর্থের অভাবে মেধাবী এই তরুণের স্বপ্নপূরণে দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা।

এ নিয়ে গতকাল শনিবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘ছেলের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগের খবরে চিন্তায় ভ্যানচালক বাবা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দেশ-বিদেশের অন্তত ৩০ জন ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজু সরদার ও তাঁর বাবা নাজমুল সরদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রাজুকে আর্থিক সহায়তায় তাঁদের ইচ্ছার কথা জানান। গতকাল দুপুরে অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে মেডিকেলে ভর্তির ২২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। রাজু সরদারের বাবার হাতে এই টাকা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ।

আরও পড়ুন

এরপর রাতে এপেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে যশোরের জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. আল আতিকুর রহমান এবং বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম রাজু সরদারের বাড়িতে আসেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রাজুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি এবং পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান।

ছোট থেকে মেধাবী রাজু অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পান। ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অভয়নগর উপজেলার মাগুরা শান্তিলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন জিপিএ-৫। ২০২৩ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে জিপিএ-৪ দশমিক ৯২ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন তিনি। রাজুর মা কাকলি খাতুন গৃহিণী। দুই ভাই-বোনের মধ্যে রাজু ছোট। বড় বোন খুলনার বয়রা সরকারি মহিলা কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

আরও পড়ুন