গোপালগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের সময় ছিনিয়ে নেওয়া তিনটি ইভিএম উদ্ধার

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ছিনিয়ে নেওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফুর ইউপি নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্থানীয় সাবু মোল্লা, পলু মোল্লা, মতিয়ার রহমান ফকির ও ইব্রাহিম কাজী। গত সোমবার নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর সাবু মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচনী মালামাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফিরছিলেন। এ সময় পরাজিত তিন প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালান। তাঁরা নির্বাচনী মালামাল ভাঙচুর করেন ও ইভিএম ছিনিয়ে নেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার লতিফপুর ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকার নদীর পাড় থেকে দুইটি ও একই গ্রামের বাগান থেকে একটি ইভিএম উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং ইভিএম ছিনতাই ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় লতিফপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে চরমানিকদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে সদর থানার ওসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ওসির গাড়ি ভাঙচুর ও ইভিএম ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

ঘটনার পর রাতেই গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক গণেশ বিশ্বাস বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অপর দিকে ইভিএম ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া মামলাতেও অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফল কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ইয়াসিন শেখ (৩৫) নামের আহত এক যুবক গতকাল ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে। ইয়াসিন পেশায় ট্রলিচালক ছিলেন।

ওসি জাবেদ মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, পৃথক দুইটি মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।