জি এম কাদের ও তাঁর স্ত্রী চড়েন ৮০ লাখ টাকার জিপে

জি এম কাদের ও শেরীফা কাদের
ফাইল ছবি

পাঁচ বছরের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের ও তাঁর স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নগদ টাকা ও ব্যাংকে জমার পরিমাণ বেড়েছে। জি এম কাদের পাঁচ বছর আগে চড়তেন ৪৪ লাখ টাকা দামের গাড়িতে, এখন চড়েন ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকার জিপে। তাঁর স্ত্রী এখন চড়েন ৮০ লাখ টাকার জিপে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তিনি রংপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। দ্বাদশ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় জি এম কাদের উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর নগদ ছিল ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শেরীফা কাদেরের পাঁচ বছর আগে নগদ ছিল ২৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এখন আছে ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে জি এম কাদেরের জমা ছিল ১৩ লাখ টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, কৃষি, বাড়িভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র, চাকরিতে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল না। তবে প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলেরা বাড়িভাড়া পান ১১ লাখ আর ব্যবসা থেকে পান ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর পর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, বাড়িভাড়া থেকে জি এম কাদেরের আয় ৩ লাখ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ টাকা। আর প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১০ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন

পাঁচ বছর আগে মামলা না থাকলেও এবার জি এম কাদেরের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেটি বিচারাধীন। হলফনামায় জি এম কাদের পেশায় নিজেকে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দুবারের হলফনামাতেই জি এম কাদের তাঁর কাছে দুটি অস্ত্র আছে বলে উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হচ্ছে দশমিক ২২ বোর পিস্তল ও দশমিক ২২ বোর রাইফেল। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর নিজের নামে লালমনিরহাট ও ঢাকার উত্তরায় বাড়ি আছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোট গ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন