উপহার নিয়ে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়ার বাড়িতে সপরিবার জেলা প্রশাসক

দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়াকে দেখতে তাদের বাড়িতে গেছেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও তাঁর স্ত্রীছবি: প্রথম আলো

ঈদের এক দিন আগেই ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্মাণশ্রমিক মাহাবুল হক ও কল্পনা খাতুনের পরিবার। সেই আনন্দ দেখতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রী মেহেনাজ খান এই দম্পতির যমজ চার মেয়ে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়াকে দেখতে আজ বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপর গ্রামের বাড়িতে যান। ঈদের উপহার দেন।

আরও পড়ুন

উপহার হিসেবে চার মেয়ের জন্য দুই সেট করে নতুন পোশাক, মাহাবুলের জন্য পাঞ্জাবি, কল্পনা খাতুনের জন্য শাড়ি, এই দম্পতির একমাত্র ছেলে নাঈম হাসানের জন্য নতুন পোশাক, ঝুড়িভর্তি ফল ও মিষ্টি এবং পাঁচ ছেলে-মেয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ঈদসালামি। এ সময় দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গার রাজস্ব ডেপুটি কালেক্টর শেখ মো. রাসেল ও জেলা প্রশাসকের দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

গত ৯ মে চুয়াডাঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কল্পনা খাতুন চার মেয়ের জন্ম দেন। খবর পেয়ে পরের দিন দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান মিষ্টি, ফুল নিয়ে মা ও নবজাতকদের দেখতে যান। বাবা-মায়ের অনুরোধে তিনি চার মেয়ের নাম রাখেন দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া।

আরও পড়ুন

এদিকে সন্তান প্রসব, প্রসূতি মায়ের চিকিৎসা ও সদ্যোজাত সন্তানের দুধের খরচ নিয়ে বিপাকে পড়ে যান নির্মাণশ্রমিক মাহাবুল হক। সমস্যা নিরসনে জেলা প্রশাসক নিজে সে সময় ১০ হাজার টাকার তহবিল দিয়ে মাহাবুলের নামে একটি ব্যাংক হিসাব খুলে দেন এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সম্প্রতি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বাছুরসহ একটি গাভি উপহার দেন চার মেয়ের নামে।

দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়াকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে জেলা প্রশাসক, তাঁর স্ত্রী ও প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা
ছবি: প্রথম আলো

মাহাবুল হক ঈদের আগে জেলা প্রশাসক সপরিবার উপহার নিয়ে তাঁর বাড়িতে মেয়েদের দেখতে আসায় খুবই আনন্দিত বলে জানালেন। মেয়েদের মা কল্পনা খাতুন বলেন, ‘আমরা খুপ খুশি হইচি। চারডে মেয়ের জামাকাপুড়, তার সাথে আমাদের পুশাক, মিষ্টি, ফলমূল আইনেচেন, আমরা খুপ খুশি।’

জেলা প্রশাসকের স্ত্রী মেহেনাজ খান বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে মাহাবুল-কল্পনা দম্পতির যমজ চার মেয়েকে দেখতে এসেছি। মূলত ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি। দোয়া করি, বাচ্চাগুলো যাতে সুস্থভাবে বড় হতে পারে, মানুষের মতো মানুষ হতে পারে এবং বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। তাদের একমাত্র ছেলেটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি। ইতিমধ্যে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। জেলা প্রশাসন সব সময় তাদের পাশে আছে।’