ঈদে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছেন: রেলমন্ত্রী

রাজবাড়ীর পাংশায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। বুধবার দুপুরে উপজেলা শহরে তাঁর নিজ বাসভবনে
ছবি: প্রথম আলো

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘ঈদে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছেন। ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের জন্য আমরা রিটার্ন টিকিট দিয়েছি। যে ব্যবস্থায় তাঁরা ঈদ করতে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়িতে গেছেন, ঠিক একই অবস্থায় তাঁরা বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরবেন। আমাদের চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে। এ জন্য আমরা জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই।’

আরও পড়ুন

আজ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা শহরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘এবার ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারেন, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেছি। আমরা সবাই মিলে এবার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি, যাত্রীরা যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারেন।’

রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৮ এপ্রিল খুলনা-রাজশাহী রেলপথে চলাচলকারী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে এক শিশু জন্ম নিয়েছে। নবজাতক শিশুকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আমরা উপহার পাঠিয়েছি। তাদের যেসব সাপোর্ট দেওয়া দরকার, অ্যাম্বুলেন্স সাপোর্টসহ সবকিছু আমরা দিয়েছি।’

আরও পড়ুন

জিল্লুল হাকিম রাজবাড়ী-২ আসনের (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ সময় পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান, হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল মামুন বিশ্বাস, সরিষা ইউপি চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বিশ্বাসসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, রেলমন্ত্রী ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন দাবি করলেও গত সোমবার বিকেলে তৈরি পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ার পর রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বাড়তি চাপ শুরু হয়। সেই চাপ মোকাবিলা করে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রা করেন অনেকে। একে ‘বাস্তবতার কাছে হার’ বলে রেলওয়ে

যদিও গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য দুই দিন আলাদা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ের সেই জনস্রোত মোকাবিলার সক্ষমতা আজও তৈরি হয়নি বলে মনে করেন বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অসহায়, নিরুপায়। এই চাপ সামলানোর সক্ষমতা তাদের নেই। তারা অসহায়, নিরুপায় হয়ে যাত্রীদের ছেড়ে দেয়।’

আরও পড়ুন