ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ

বগুড়ায় হামলায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নাহিদ আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আহমেদ (৩০) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আবদুস সামাদ (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনন্যা রায়ের আদালতে আবদুস সামাদ এ জবানবন্দি দেন। আজ মঙ্গলবার সকালে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন

৯ মে রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের মালগাম ডাবতলা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নাহিদের বাবা ঝন্টু ব্যাপারী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে আবদুস সামাদের নাম ছিল না। তবে হত্যার ঘটনার পর ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরে ওই ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে আবদুস সামাদকে শনাক্তের পর গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী। আবদুস সামাদ বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আবদুস সামাদ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদকে হত্যা করা হয়। মামলার প্রধান আসামি মালগ্রাম কলেজপাড়ার মো. রতনের নির্দেশেই নাহিদকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য সামাদকে মালগ্রামে আসতে বলেন কসাইপাড়ার দুই ভাই রনি ও রবিন। তাঁদের (রনি ও রবিন) কথামতো সামাদ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। ঘটনার দিন নাহিদ ও তাঁর সহযোগীরা মালগ্রাম বেলতলা এলাকায় তাস খেলছিলেন। এ সময় রতনের নির্দেশনা অনুযায়ী, রনি ও রবিনের নেতৃত্বে নাহিদের ওপর সামাদসহ অন্যরা অতর্কিতে হামলা করেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর নাহিদের মৃত্যু নিশ্চিত হলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, স্বীকারোক্তি প্রদানের পর আসামি সামাদকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল রাত আটটার দিকে র‍্যাব সদর দপ্তরের (ইন্টেলিজেন্স উইং) সহযোগিতায় র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩-এর স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ধামাহার এলাকা থেকে মো. সিয়াম (২০) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। সিয়াম বগুড়া শহরের মালগ্রাম কসাইপাড়ার মঞ্জু কসাইয়ের ছেলে এবং আলোচিত এ হত্যা মামলার ১০ নম্বর আসামি। গ্রেপ্তার সিয়ামকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তরের পর আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।