বিএনপি উন্মাদনা শুরু করেছে দেশে নির্বাচন করতে দেবে না: কৃষিমন্ত্রী

উচ্চফলনশীল জাতের ধান কাটার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি উন্মাদনা শুরু করেছে, দেশে নির্বাচন করতে দেবে না। তাদের স্বভাবই এটি। তারা গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধ বিবর্জিত দল। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যেভাবে তারা আগুন সন্ত্রাস, ভাঙচুর ও তাণ্ডব করেছিল, সেই একই কায়দায় ২৮ অক্টোবর বর্বরোচিত হামলা করেছে। পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আরও পড়ুন

বিএনপি আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে পরিচালনায় সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আব্দুর রাজ্জাক। আজ শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায় ‘খামারি’ অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চফলনশীল জাতের ধান কাটার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।

আরও পড়ুন

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য ধরপাকড় করা হচ্ছে না। বিএনপি নেতারা তাঁদের কর্মীদের আগুন সন্ত্রাস করার জন্য প্ররোচিত করছেন, উসকানি দিচ্ছেন। গ্রেপ্তার করা ছাড়া তাঁদের নিবৃত্ত করা যাবে না। মানুষের জানমাল, গাড়ি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা এবং দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখা সরকারের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে। কোনোক্রমেই বিএনপির কোনো শান্তিপ্রিয় নিরীহ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। টাঙ্গাইলের কোনো উপজেলায় বিএনপির একজন নির্দোষ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আরও পড়ুন

বিএআরসির তৈরি খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা সরেজমিনে দেখে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের যেকোনো মৌজার সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার ও বীজ লাগবে, সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধানের আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে। এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ এক হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।

ব্রিধান-১০৩-এর নমুনা কর্তন শেষে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জমি কমছে। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান বজায় রাখতে হলে উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে।

আরও পড়ুন

কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের উপদেষ্টা সানোয়ার হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।