কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে খুলনার তিন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ

কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে খুলনার তিন ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। খুলনার কাশিপুরে যমুনা টার্মিনালে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় খুলনার তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার সকাল থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ থাকায় খুলনা অঞ্চলের ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। সরকারকে ‘সতর্কতামূলক বার্তা’ দেওয়ার জন্য তেল উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তিন দফা দাবিতে এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরে ওই দিন রাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে রাখা হয়। ওই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করায় আজ তেল উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন বৃদ্ধিসংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। গেজেট ভুলে ভরা। শুধু গেজেট প্রকাশ নয়, দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে।

ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবি হলো—জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা। এর মধ্যে জীবনকাল ৫০ বছর করা ও কমিশন বাড়ানোর দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছিল বিপিসি।

আরও পড়ুন