হামলার অভিযোগ নিয়ে আজমত উল্লা খান বললেন, জাহাঙ্গীর নাটকের মাস্টার

জনসংযোগ করছেন গাজীপুর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। শুক্রবার দুপুরে টঙ্গী বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের জনসংযোগে হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘জাহাঙ্গীর নাটকের মাস্টার। সে সব সময় এ ধরনের নাটক করে। এটাও এরই অংশ।’

শুক্রবার টঙ্গী বাজার বড় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় জায়েদা খাতুনের জনসংযোগের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গণসংযোগে ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় তাঁর চার কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনায় আজমত উল্লা খান ও তাঁর লোকজন জড়িত।

তাঁকে ও তাঁর মাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত চার দিন আমরা টঙ্গীতে অনেক এলাকায় গিয়েছি। সেসব এলাকায় আজমত উল্লার নিজস্ব লোক দিয়ে আমাকে এবং আমার মা জায়েদা খাতুনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা কৌশলে বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আমার মা ও আমার ওপর আক্রমণ করেছে। আল্লাহ এবং জনগণ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন।’

আরও পড়ুন

অভিযোগের বিষয়ে আজমত উল্লা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিজ অল আর ফেকস। আমি একজন ভদ্রমহিলা (জায়েদা খাতুন) সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আপনারা সংবাদকর্মী। শুধু বলব, আপনারা ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখেন প্রকৃত ঘটনা কী। সে সব সময় নাটকের মাস্টার।’

আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আপনারা কি দেখেছেন, কোথাও সে (জাহাঙ্গীর) বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। এসব নিয়ে তিনি একবার একে দোষারোপ করেন, একবার ওকে দোষারোপ করেন। মন্ত্রণালয় তাঁকে সুনির্দিষ্ট কারণে সাসপেন্ড (বহিষ্কার) করেছে। এটার জন্যও তিনি আমাকে দোষারোপ করেছেন। আবার নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করেছেন, সেখানেও তিনি একে-ওকে দোষারোপ করেছেন। সুতরাং তাঁর বিষয়ে বলার কিছু নাই।’

আরও পড়ুন

সরকারি দলের প্রার্থী হিসেবে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন কি না, প্রশ্ন করা হলে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আপানাদের কী কারণে মনে হয়েছে, আমরা বেশি সুবিধা পাচ্ছি? আমার অনেক কর্মী–সমর্থক। অথচ আমি কোনো গাড়িবহর নিয়ে পর্যন্ত বের হই না। তারপরও লোকজনে ভরে যায় সভা–সমাবেশ। আমার কর্মীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। জরিমানা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আচরণবিধি মেনে চলতে। তাহলে সুবিধাটা বেশি পেলাম কোথায়?’

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ টঙ্গীর বড় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন আজমত উল্লা খান। পরে সেখান থেকে টঙ্গীর মধুমিতা মেঘা সিটি, পূর্ব জামাই বাজার, ঝিনু মার্কেট, গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।