রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে চারুকলার রেললাইনে অবস্থান নেন
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ রোববার সন্ধ্যায় এ কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। তদন্ত কমিটিকে কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, সেটি প্রাথমিকভাবে তিনি জানাননি।

আরও পড়ুন

উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা তদন্তে সহ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল হাসান এবং সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান। আগামীকাল সোমবার অফিস সময়ের মধ্যে কমিটিকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে।

গতকাল শনিবার বগুড়া থেকে বাসে রাজশাহীতে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। বাসে আসনে বসা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাসের চালক ও সহকারীর বচসা হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে তাঁদের সঙ্গে আবার বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান ওই শিক্ষার্থী। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তখন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পাল্টা ধাওয়া দেন। এর পর থেকে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিনোদপুর।

আরও পড়ুন

স্থানীয় ব্যক্তিদের হামলা-সংঘর্ষ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে এখনো ৯০ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন এক শিক্ষার্থী। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আজ দুপুরে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। ছয়জন শিক্ষার্থীর চোখে রাতেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ সারা দিন নানা কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে চারুকলার রেললাইনে অবস্থান নেন। সেখানে অবস্থান নিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। এতে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন