টর্নেডোয় নিখোঁজের ৪৫ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের নদী থেকে জেলের লাশ উদ্ধার

রুহুল গাজী
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর সময় নিখোঁজের ৪৫ ঘণ্টা পর জেলে রুহুল গাজীর (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সীমান্তের উলোখালি নদী থেকে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আবদুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রুহুল গাজী উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের রমজান আলী গাজীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছ ধরতে নদীতে গিয়েছিলেন রুহুল গাজী। এ সময় হঠাৎ টর্নেডো শুরু হলে নৌকাসহ রুহুল নদীতে তলিয়ে যান। ঘটনার পরপরই নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা সম্ভাব্য এলাকায় তল্লাশি করেন। তবে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত রুহুলের কোনো সন্ধান মেলেনি।

এর আগে টর্নোডোর সময় নিখোঁজ হওয়া আরও চারজনকে ভারতের শমসেরনগর এলাকার বিএসএফ রায়মঙ্গল নদী থেকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই কৈখালী ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রহিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন

আবদুর রহিম বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল সকাল ১০টা থেকে তাঁরা কালিন্দী নদীতে তল্লাশি শুরু করেছেন। এর আগে গতকাল সকাল নয়টার দিকে ভাটার সময় কালিন্দী নদীর ভারতীয় অংশের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। তবে বিএসএফ সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই জোয়ারে আবার লাশটি নদীতে তলিয়ে যায়। ডুবুরি, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত কালিন্দী নদীতে অভিযান চালিয়ে রুহুল গাজীর লাশের সন্ধান মেলেনি। আজ সকাল আটটার দিকে মাছ ধরার সময় সীমান্তের উলোখালি নদীর বাংলাদেশ অংশে একটি অর্ধগলিত লাশ ভাসতে দেখেন জেলেরা। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রুহুল গাজীর লাশটি উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রুহুল গাজীর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে রুহুল গাজীর লাশ তাঁর নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।