সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদ (২২) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, আটক তিনজনই অছাত্র। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। বিভিন্ন সময় অপরাধের সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার একাধিক অভিযোগ রয়েছে, তবে তাঁরাই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না, পুলিশ এটি জিজ্ঞাসাবাদ করে খতিয়ে দেখছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে গাজী-কালু টিলালাগোয়া ‘নিউজিল্যান্ড’ এলাকায় বুলবুল ছুরিকাহত হন। পরে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত পৌনে আটটার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাতেই সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।
নিহত বুলবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি নরসিংদী সদরের চিনিশপুরম নন্দীপাড়া গ্রামে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতেন। বুলবুলের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল রাত থেকে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুলবুল যখন ছুরিকাহত হন, তখন একজন ছাত্রী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তবে ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ফলে সে সময়ের ঘটনা জানা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু ওই ছাত্রীই একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী, তাই তিনি কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাঁর সঙ্গে আলাপ করে ঘটনার বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।
সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা খান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দ্রুতই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের শনাক্তের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হবে। আজ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।