আজগুবি নম্বর বের করেছে সিপিডি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের তথ্যকে ‘সিপিডির আজগুবি নম্বর’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেট-১ আসনের নৌকার প্রার্থী হিসেবে নগরের আম্বরখানা এলাকায় আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সিপিডিতে যাঁরা আছেন, অল রেসপেক্ট টু দেম। রাশাটা (রাশিয়া) বড় দেশ ছিল, ইউএসএসআর (সোভিয়েত ইউনিয়ন) ধ্বংস হয়ে গেল রাশান ইকোনমিস্টদের কারণে। এই রাশান ইকোনমিস্টদের কারণে দেশটা ধ্বংস হয়ে ১৯টা রাষ্ট্র হলো। আনফরচুনেটলি সিপিডিতে আছেন এঁরা অনেকেই হচ্ছেন রাশান ইকোনমিস্ট। ওনারা ঘরে বসে অঙ্ক কষেন। একটা আজগুবি নম্বর বের করেছেন। এটা কিছু বাহবা পাওয়ার জন্য। যদি সত্যি সত্যি ওনাদের কিছু হিসাব থাকে, আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করব। যদি তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ যদি থাকে। ওনারা অনেক সময় একেকটা গল্প বানান আর গল্পটাকে ছড়ান।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত শনিবার জানায়, ২০০৮ থেকে ২০২৩—এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট-বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ওনারা বলেছেন যে সাড়ে ২৩ হাজার টাকা (নিম্নতম মজুরি) শ্রমিকদের দিতে হবে। তাহলে আমার সব ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে। এইটা তো আমেরিকা না, মুখে বললেই হয়ে গেল। আমেরিকা তো অত দিতে পারবে না। আমি বলছি যে এই সাড়ে ২৩ হাজার বাড়ানো হলে ৮ হাজার থেকে প্রায় তিন গুণ। আমেরিকার নিউইয়র্কে ১৫ ডলার হলো ঘণ্টাপ্রতি মজুরি। আর যদি ৪৫ ডলার করে বাড়ায়, তাহলে লোকের আর চাকরি থাকবে না। এইখানে লোকের চাকরি থাকবে না। ফ্যাক্টরি সব বন্ধ হয়ে, দেশটাকে ধ্বংসের জন্যে ওনারা কিছু কাজকর্ম করেন। এটি খুবই দুঃখজনক। ওনারা যদি সত্যিকারের অর্থনীতিবিদ হতেন, তাহলে এ রকম একটা ডাহা (মিথ্যা) একটি নম্বর দিয়ে দিতেন না। আর তো কেউ দেয়নি নম্বর। যদি সত্যি কথা বলতে পারতেন, তাহলে আমাদের জন্য উপকার হতো। তখন আমরা কারেকটিভ অ্যাকশন নিতে পারতাম। এইগুলো বলার জন্য বলা, আপনাদের মিডিয়ার মনোযোগ পাওয়ার জন্য।’
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নির্বাচনে নিরাপত্তা একেবারে শতভাগ, নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এটার কোনো ভয় নেই।’
বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, যাঁরা এই বর্জন করার জন্য বলছেন, তাঁদের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। ওরা শুধু টেলিভিশনে আর মিডিয়াতে, আসলে কোথাও নেই। সুতরাং কারও ভয়ের কোনো কারণ নেই। আর ইলেকশন কমিশন সর্বদা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এইবারে কোনো কেন্দ্রে কোনো ধরনের হয়রানির কারণ থাকবে না। সুতরাং নিশ্চিন্তে সবাই দলে দলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এতে কোনো ভয় নেই।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।