স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে ভোলা বিএনপি

বিএনপি

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে ভোলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভোলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

তবে ওই কর্মসূচি স্থগিত করে আজ বাদ আসর নিহত আবদুর রহিম ও আহত নেতা–কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে জেলা বিএনপি।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর মুঠোফোনে বলেন, ‘এটা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে আত্মগোপনে আছেন। চারদিকে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভ মিছিল স্থগিত ছাড়া উপায় ছিল না। একজন মারা গেছেন, আরেকজন (ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম) মৃত্যুশয্যায়। বাকিরা হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটপট করছেন। যাঁরা বাড়িতে চিকিৎসাধীন, তাঁদেরও পুলিশ দৌড়ের মধ্যে রেখেছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভ করে পুলিশের হাতে নেতা-কর্মীরা ধরা পড়ুক, এটা চাই না। আগে নেতা-কর্মীরা সুস্থ হোক, তারপরে দেখা যাবে। বাদ আসর নিহত ও অসুস্থ নেতা-কর্মীদের রোগমুক্তি চেয়ে দোয়া করাচ্ছি। সেখানে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মোট কথা বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ অসম্ভব।’

বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিতে গত রোববার ভোলা জেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে আবদুর রহিম নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হন দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। বিএনপির দাবি, আবদুর রহিম ভোলা সদর উপজেলার দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ছিলেন।

আরও পড়ুন

তবে আবদুর রহিম নিহতের ঘটনায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো মামলা হয়নি। গোলাম নবী আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ আবদুর রহিমকে গুলি করে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেনকে অভিযুক্ত করে তাঁরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অজ্ঞাত কারণে আজ পর্যন্ত মামলা হয়নি। বুধবার হতে পারে। তবে আজ বিএনপির কার্যালয়ের মধ্যে দোয়া-মোনাজাত করা হবে।

এদিকে আজ সকাল থেকে ভোলা পৌরসভার বিভিন্ন মোড়সহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে। জানতে চাইলে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন বলেন, শহরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি বাদ আসর দোয়া মাহফিল করবে। সেখানে যেন কোনোরকম বিশৃঙ্খলা না হয়, পুলিশ সেটি খেয়াল রাখবে।

আরও পড়ুন