পদ্মায় জেলেদের জালে ধরা পড়ল ১৭ কেজির পাঙাশ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে ১৭ কেজি ওজনের এই পাঙাশ মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাটে
ছবি: প্রথম আলো

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৭ কেজি ওজনের পাঙাশ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছটি দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার বাহির চর দৌলতদিয়ায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে। ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্যা মাছটি কিনে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা লাভে বিক্রি করবেন বলে ফেরির পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবী বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি কয়েক দিন ধরে দ্রুতগতিতে কমে যাচ্ছে। পানি কমতে থাকায় বিভিন্ন প্রজাতির দামি ও সুস্বাদু মাছ ধরা পড়ছে। রুই, কাতলা, পাঙাশ, রিঠা ও বাগাড়জাতীয় মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ ধরতে জেলেরা দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছেন। পদ্মা ও যমুনা নদীর সংযোগস্থল গোয়ালন্দ হওয়ায় এ অঞ্চলে মাছও ধরা পড়ে বেশি।

জেলেরা বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার অন্তারমোড় এলাকার জেলে জামাল প্রামাণিক তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ফেরিঘাট এলাকা থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ফেরিঘাট থেকে প্রায় চার কিলোমিটার ভাটিতে বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়া এলাকায় জাল ফেলে নৌকায় অপেক্ষা করতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলে জামাল প্রামাণিক ও তাঁর দল জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতে দেখতে পান বড় একটি পাঙাশ। কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরা পড়লেও বড় পাঙাশ সচরাচর ধরা পড়ছে না। পরে মাছটি বিক্রি করতে তাঁরা চলে আসেন দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে। সেখানে স্থানীয় আনু খাঁর আড়তঘরে মাছটি বিক্রির জন্য তোলা হয়। এ সময় নিলামে তোলা হলে মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্যা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছটি কিনে নেন।

আরও পড়ুন

চাঁদনি-আরিফা মৎস্যভান্ডারের মালিক মো. চান্দু মোল্যা বলেন, মাছটি ওজন দিয়ে দেখতে পান প্রায় ১৭ কেজি ১০০ গ্রাম হয়েছে। নিলামে তোলা হলে তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ২৩ হাজার ৮০০ টাকায় কেনেন। মাছটি বর্তমানে তাঁর আড়তঘরের কাছে ফেরির পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। কেজিপ্রতি ১০০ টাকা করে লাভ পেলেই তিনি বিক্রি করে দেবেন বলেও জানান।

চান্দু মোল্যা বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি দ্রুত কমতে থাকায় রুই, কাতলা, পাঙাশ, ইলিশ ও বাগাড়জাতীয় মাছ ধরা পড়ছে। অনেক দিন পর ইদানীং জেলেরা আগের তুলনায় ভালোই মাছ শিকার করছেন। এতে জেলেরা যেমন খুশি, পাশাপাশি ব্যবসা করে আমরাও খুশি। তবে হয়তোবা আর দু-চার দিন পর মাছ আর পাওয়া যেতে না–ও পারে।’

আরও পড়ুন

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল-রাজীব বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় নালা বা খাল সৃষ্টি হওয়ায় সব ধরনের মাছ সেখানে এসে জড়ো হচ্ছে। তবে চর জেগে ওঠায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ দিন দিন অনেক কমে যাচ্ছে।