হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে না, অগ্নিসন্ত্রাসের বিচার হচ্ছে: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে না জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আপনারা ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতকে নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা দেখেছেন। অগ্নিসন্ত্রাস দেখেছেন, বাসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলতে দেখেছেন। এখন সেটার বিচার যখন হচ্ছে। তারা বলে ১ লাখ ২৯ হাজার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এটা মিথ্যা কথা।’
আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে দেখেছেন, ঠিক একইভাবে নির্বাচন বানচাল করার একটা নতুন কৌশল নিয়েছিল বিএনপি। সেটা হচ্ছে, প্রতিটি আসন থেকে তাদের ৩ থেকে ৪ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের দুই দিন আগে বলেছে আমরা নির্বাচন করব না। বিএনপি নির্বাচনে না এসে নিশ্চয়ই ভুল করেছে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা হারায়, সেই রাজনৈতিক দল আর টিকে থাকতে পারে না। কিছুদিন পর দেখবেন বিএনপির সেই অবস্থা হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক এটা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী চায় না। তারা কী চায়? তারা চায় বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হোক। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছায় জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা পরিবর্তন করেছেন। এখন গণতন্ত্র এ দেশে একটা রূপ নিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে গ্রামেগঞ্জে যে আগ্রহ, তা দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছে এবং সন্ত্রাস করছে—এটা নতুন নয়।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিএনপি-জামায়াত চেষ্টা করলেও তা পারবে না। এ দেশের জনগণ গণতন্ত্র অব্যাহত রাখবেন। তাঁরা ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন এবং নির্বাচনে ভোট দেবেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া ও কসবা) আসনের নৌকার প্রার্থী আনিসুল হক। তিনি টানা দুই মেয়াদে এ আসনে সংসদ সদস্য রয়েছেন। আজ বুধবার তিনি দিনব্যাপী উপজেলার বাদৈর, মূলগ্রাম ও মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় যোগ দেন।
এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পৌর মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।