আ.লীগের মামলার পর আদালতে গিয়ে পাল্টা মামলা করল বিএনপি

আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের পর এবার মামলা করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। এরপর আজ দুপুরে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার বিষয়টি আজ বিকেলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান।

মামলায় আওয়ামী লীগের ৪০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-আমিন বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

মামলার আবেদনে বলে হয়েছে, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে ১৮ নভেম্বর কামারখন্দে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রামদা, ছুরি, হকিস্টিক, ইট, পাথর, লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। হামলার সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। পরে তাঁরা কৌশলে সরে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। পরে আসামিদের এলোপাতাড়ি হামলায় রুমানা মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। হামলায় পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাডো গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে বিএনপির ২৬ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলা করেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা। পরে বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলটির কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ৬ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘কামারখন্দে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় আমাদের সাবেক এমপিও আহত হয়েছেন। এখন পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।’