আ.লীগ নেতার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন অপহরণের শিকার প্রার্থীর

সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব
ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেছেন অপহরণের শিকার প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মুনয়েম হোসেন। আজ বুধবার সকালে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি একটি দরখাস্ত জমা দিয়ে এই আবেদন করেন।

লুৎফুল হাবীব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন লুৎফুল হাবীব। গত রোববার পর্যন্ত তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

আরও পড়ুন

গত সোমবার বিকেলে দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের অনুলিপি নাটোর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে জমা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে অপহরণ করে বেদম মারধর করে। পরে তাঁকে নিজ বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়ার পর পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এক দিন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকার পর বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মুনয়েম হোসেন তাঁর দরখাস্তে বাবার ওপর সংঘটিত নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে তাঁর বাবাকে দূরে রাখতে বাবার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের নির্দেশে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী জঘন্য তৎপরতা চালিয়েছে। তাঁর বাবা এখনো শঙ্কামুক্ত নন। এ অবস্থায় লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন করতে দিলে তিনি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে কালিমা লেপন করবেন। নির্বাচন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে। মুনয়েম হোসেন লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা বাতিল করে তাঁর শাস্তি দাবি করেন। তিনি তাঁর দরখাস্তের সঙ্গে তাঁর বাবাকে অপহরণ ও মারধর করার ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ, ভিডিও ফুটেজ ও টেলিভিশন ফুটেজ সংযুক্ত করে দিয়েছেন বলেও দরখাস্তে উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে আজ বিকেলে মুঠোফোনে কথা হয় দরখাস্তকারী মুনয়েম হোসেনের সঙ্গে। তিনি লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা বাতিলের দরখাস্ত জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর যে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। এভাবে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ থাকবে না। তাই তিনি লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা বাতিল চান।

এ ব্যাপারে জানতে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁকে খুদে বার্তা দিয়ে ওই দরখাস্ত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো জবাব দেননি।

আরও পড়ুন