সিলেটে বাসের পর এবার সব ধরনের পরিবহনে ধর্মঘটের ডাক

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটে বাসের পর এবার সব ধরনের পরিবহনে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন আগামী শনিবার দিনব্যাপী এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের বিভাগীয় সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম।

এর আগে সিলেট বিভাগের বাকি তিন জেলা হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জেও পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে জেলা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতিও একই দিন ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন

শনিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে। ওই দিনই সব ধরনের পরিবহনে ধর্মঘট ডাকার পেছনে সরকারের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হতে যাতে বিড়ম্বনায় পড়েন, সে জন্যই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির গণসমাবেশের আগে এভাবেই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

সিলেট বিভাগীয় শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, চার দফা দাবিতে তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন। সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সিলেট জেলায় তাঁদের ধর্মঘট চলবে। দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আজ বেলা তিনটার দিকে সংগঠনটি নগরের দক্ষিণ সুরমার হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বর এলাকায় এক বৈঠকে বসে। দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চার দফা দাবিগুলো হচ্ছে সিলেটের সব কটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন প্রদান, সিলেটের লামাকাজী ও শ্যাওলা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ এবং হাইওয়েতে টমটম ও নছিমন চলাচল বন্ধ করা।

আরও পড়ুন

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি দেশব্যাপী ধারাবাহিক গণসমাবেশ করছে। প্রথম গণসমাবেশ হয় গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে। এরপর ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরের পর আগামী শনিবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে।

আরও পড়ুন

জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, সরকার নানাভাবে বিএনপির গণসমাবেশ আয়োজনে বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করছে। এরই অংশ হিসেবে সরকারের ইন্ধনে এসব পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। তবে এসব বাধাবিপত্তি ঠেলে গণসমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে।’