সরিষাবাড়ীতে নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৬

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়া এলাকায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার রাতে
ছবি: প্রথম আলো

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা একে অপরের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। এর পর থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মৎস্য ও প্রাণিবিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ঈগল।

দুই পক্ষের সমর্থক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় ঈগল প্রতীকের সমর্থক দেলকুশ, কফিল, রুকন ও রুবেলের নেতৃত্বে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করা হয়। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয় এবং নৌকার প্রার্থীর ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। ক্যাম্পে বসে থাকা নৌকার সমর্থক আবদুল মান্নান ও শাকিল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাড়িয়াপাড়া এলাকায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে নৌকার সমর্থকেরা জড়ো হন। পরে নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে রাত ৯টা পর্যন্ত কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঈগলের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। ঈগলের সমর্থক কফিল উদ্দিন, রুকন, রুবেল ও দেলকুশ আহত হন।

আরও পড়ুন

দুই পক্ষের আহত ছয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা-পুলিশ ও র‍্যাব-১৪-এর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সোমবার রাতেই সরিষাবাড়ী থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈগলের প্রার্থী মুরাদ হাসানের সমর্থকেরা আমার নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় কয়েকজন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।’

আরও পড়ুন

ঈগলের প্রার্থী মুরাদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সমর্থকেরা আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় ৪ থেকে ৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমার কোনো সমর্থক নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করেনি।’

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই প্রার্থীর পক্ষে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন