ফতুল্লায় তরুণকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার

নিহত সালমান খন্দকারের মা খুকু বেগম। পাশে বাবা মোফাজ্জল খন্দকার। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গের সামনেছবি: দিনার মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সালমান খন্দকার (১৮) নামের এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি অপুকে (১৮) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১–এর একটি দল। গতকাল রাতেই গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১ সিপিসি-১–এর উপপরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।

গ্রেপ্তার অপু মামলার তিন নম্বর আসামি। মামলার প্রধান আসামি জাহিদসহ অন্যরা পলাতক। নিহত সালমান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেলপাড়া কুসুমবাগ এলাকার শাহজাহান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোফাজ্জল খন্দকারের ছেলে। সালমান দেলপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। মাঝেমধ্যে গার্মেন্টে টুকটাক কাজ করতেন। তাঁর বাবা মোফাজ্জল খন্দকার ভ্যানচালক আর মা খুকু বেগম গৃহিণী।

আরও পড়ুন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আসামি অপুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও মামলার এজাহার পর্যালোচনা করে বাহিনীটি জানতে পেরেছে, ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে সালমান খন্দকার তাঁর দুই বন্ধু মো. শুভ (১৭) ও মো. জুম্মানের (১৭) সঙ্গে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকার একটি মাঠে গল্প করছিলেন। এ সময় মামলার প্রধান আসামি মো. জাহিদ (২০) তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ধূমপান করলে সালমান ও তাঁর বন্ধুরা জাহিদকে দূরে গিয়ে ধূমপান করতে বলেন। এতে জাহিদ সালমানের ওপর চড়াও হন এবং তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আসামি জাহিদ, সাজ্জাদ, মো. অপুসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন সালমানকে কাঠের ডাসা ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। সালমানের বন্ধুরা তাঁকে বাসায় নেওয়ার পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সালমানের বাবা মোফাজ্জল খন্দকার (৫৬) ছেলেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত তিনটার দিকে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই রাতেই সালমানের বাবা ছেলের লাশ নিয়ে বাসায় এলে খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার অপুকে ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।